Laver Cup

রজার-ঘোর এখনও কাটেনি নোভাকের, ট্রফি টিয়াফোদের

দুরন্ত ভাবে টিম ইউরোপকে চমকে দিয়ে টিম ওয়ার্ল্ড ছিনিয়ে নেয় এ বারের লেভার কাপ। যারা এর আগে চার বারই হেরেছিল এই প্রতিযোগিতায়। রবিবার চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটে জিততে হত টিম ওয়ার্ল্ডকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৬
Share:

আবেগরুদ্ধ: কান্না রজারের। সান্ত্বনা নোভাকের। ফাইল চিত্র

টেনিসকে চিরবিদায় জানানোর পরের দিনই লেভার কাপে নোভাক জোকোভিচের সিঙ্গলস ম্যাচ দেখলেন কিংবদন্তি রজার ফেডেরার। ম্যাচে সার্বিয়ার তারকা উড়িয়ে দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রতিভা ফ্রান্সেস টিয়াফোকে। প্রথম সেট মাত্র ২৩ মিনিটে তিনি জিতে নেন। খেলার ফল ৬-১, ৬-৩। নোভাক জিতেছেন তাঁর ডাবলস ম্যাচও।

Advertisement

তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। রবিবার দুরন্ত ভাবে টিম ইউরোপকে চমকে দিয়ে টিম ওয়ার্ল্ড ছিনিয়ে নেয় এ বারের লেভার কাপ। যারা এর আগে চার বারই হেরেছিল এই প্রতিযোগিতায়। রবিবার চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটে জিততে হত টিম ওয়ার্ল্ডকে। সেই লড়াইয়ে অ্যান্ডি মারে এবং মাত্তেয়ো বেরেত্তিনি প্রথমে হারেন। এর পরে ফেলিক্স অগার অালিয়াসমে স্ট্রেট সেটে নোভাককে হারিয়ে চমকে দেন। ফ্রান্সেস টিয়াফো পিছিয়ে পড়েও নাটকীয় ভাবে ফিরে এসে জেতেন স্টেফানোস চিচিপাসের বিরুদ্ধে। যে লড়াইয়ে তিনি চারটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচান। এতেই টিম ওয়ার্ল্ডের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

ফলে বিদায়ী প্রতিযোগিতায় নোভাকরা জয় উপহার দিতে পারলেন না ফেডেরারকে। টিয়োফোকে হারিয়ে নোভাক বলেছিলেন, ‘‘রজারের বিদায়ী ম্যাচের আবেগঘন আবহ ভুলতে পারছি না। তার পরে মানসিক ও শারীরিক ভাবে আবার খেলার মতো অবস্থায় ফেরা কঠিন ছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘আমরা জীবনের অন্যতম সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি শুক্রবার।’’ ফেডেরার শনিবার ব্রিটেনের ক্যামেরন নুরি ও ইটালির মাত্তেয়ো বেরেত্তিনির খেলার সময়ও ঠায় বসেছিলেন কোর্টের পাশে ইউরোপ দলের বেঞ্চে। সারাক্ষণই তিনি নতুন প্রজন্মের এই সব খেলোয়াড়দের পরামর্শ দেন।

Advertisement

জোকোভিচ নিজের খেলা নিয়ে বলেছেন, ‘‘দু’মাস প্রতিযোগিতামূলক টেনিসই খেলিনি। তার পরেও ছন্দে ফিরে ভাল লাগছে। টিয়োফোর বিরুদ্ধে সেরা টেনিসই খেলছি। ম্যাচে সেই অর্থে ভুলও বিশেষ করিনি।’’

অসাধারণ একটা দৃশ্য দেখা গিয়েছে শনিবার লন্ডনের ও-টু টেনিস কোর্টে। সেটা অবসর নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেই ফেডেরারের ইটালির মাত্তেয়ো বেরেত্তিনিকে কোচিং করানোর দৃশ্য! সে অভিজ্ঞতার বর্ণনা করতে গিয়ে ইটালির নতুন তারা বলেন, ‘‘আমি রোমাঞ্চিত। ভাবতেই পারছিলাম না, রজার কোচিং করাচ্ছেন!’’ যোগ করেন, ‘‘খেলা শেষ হওয়ার পরে নিজেকে বলছিলাম, সত্যিই কি তেমন কিছু ঘটেছিল? এমনিতে গত রাতে ঘুমোতেই পারছিলাম না। পারব কী করে? রজার তো আমার কাঁধে মাথা রেখেও কান্নাকাটি করছিল।’’

প্রসঙ্গত চোখের জলে টেনিসকে চিরবিদায় জানিয়ে কিংবদন্তি ফেডেরার শুক্রবার বলে যান, ‘‘দারুণ একটা দিন কাটল। আমি ভীষণই খুশি। মন খারাপ করছে ভাববেন না মোটেই। বিশেষত এখানে, লন্ডনে এ সব কিছু হওয়াটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। টেনিসে নিজের যাত্রপথ সম্পূর্ণ করে কী যে ভাল লাগছে, বোঝাতে পারব না। আসলে একেবার নিখুঁত একটা যাত্রাপথের মধ্যে দিয়ে এলাম। মনে হচ্ছে, সব কিছু আবার নতুন করে করব!’’

জীবনের শেষ ম্যাচে তাঁর ডাবলস সঙ্গী রাফায়েল নাদালের প্রতিক্রিয়াটা ছিল, ‘‘আমার কাছে এমন এক ইতিহাসের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারাটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। তা ছাড়া, বহু বহু বছর আমরা দু’জনে টেনিসে নিজেদের সেরা সময়টা কাটিয়েও ফেললাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement