এই বয়সেও নতুন সাফল্যের জন্য নিজের লক্ষ্য স্থির করছেন জোকোভিচ। ফাইল ছবি।
ঝুলিতে রয়েছে ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব। তবু সন্তুষ্ট নন নোভাক জোকোভিচ। এত সাফল্যের পরেও বিশেষ একটি পদক জিততে পারেননি বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। সে জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত ফিটনেস ধরে রাখতে চান জোকার। এই বয়সেও নিজের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্দিষ্ট করেছেন তিনি।
রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল এবং জোকোভিচ— গত দু’দশক ধরে পুরুষদের টেনিস শাসন করেছেন এই তিন জন। পাল্লা দিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন তিন জনেই। সকলেই জিতেছেন কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম। নাদাল একটু এগিয়ে। তাঁর রয়েছে গোল্ডেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম। অর্থাৎ, চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের পাশাপাশি অলিম্পিক্স টেনিসের সিঙ্গলস সোনাও জিতেছেন তিনি। জোকোভিচের লক্ষ্য নাদালের এই কীর্তি ছোঁয়া। সে জন্য ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সকেই পাখির চোখ করছেন তিনি।
দুবাই ওপেন খেলতে ব্যস্ত জোকোভিচ জানিয়েছেন অলিম্পিক্স সোনার স্বপ্নের কথা। তিনি বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আশা করছি আগামী বছর প্যারিসে খেলার জন্য যথেষ্ট সুস্থ থাকব। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ক্লে কোর্টে খেলা হবে। কোর্ট আমার পরিচিত। এই ধরনের কোর্টে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। মনে হচ্ছে অলিম্পিক্সে আমার সেরা ফল প্যারিসেই হবে।’’
মোট ৩৭৮ সপ্তাহ বিশ্বের এক নম্বরে থেকে নতুন রেকর্ড গড়েছেন জোকোভিচ। ভেঙে দিয়েছেন স্টেফি গ্রাফের নজির। সার্বিয়ান তারকা বলেছেন, ‘‘নিজের লক্ষ্য নিয়ে আমি সব সময় খুব পরিস্কার। প্রতিযোগিতামূলক টেনিস থেকে কী পেতে চাই, সেটা জানি। এ ভাবেই বেড়ে উঠেছি। আমার বাবা-মা এবং জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষ এ ভাবে ভাবতে শিখিয়েছেন। এই মানসিকতা নিজের খেলাকে উন্নত করতে সাহায্য করেছে আমাকে। সব সময় টেনিসের প্রতি নিবেদিত থাকতে সাহায্য করেছে। নিজেকে সব সময় মনে করাই, সফল হওয়ার ইচ্ছাশক্তি সব থেকে জরুরি। সফল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’’
টেনিসজীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে আসা জোকোভিচ পেশাদার টেনিসের প্রায় সব খেতাবই জিতেছেন। তবু অলিম্পিক্সের সোনার পদক এখনও অধরা তাঁর কাছে। যে পদক বিশ্বের সব ক্রীড়াবিদই জিততে চান। বিশ্বের সব খেতার জেতার পরও অলিম্পিক্স সোনার পদক না থাকলে যেন পূর্ণতা পায় না খেলোয়াড়জীবন। ৩৫ বছরের টেনিস খেলোয়াড়ের চোখে এখন সেই পূর্ণতার স্বপ্ন।