নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।
পকেটে দু’ডজন গ্র্যান্ড স্ল্যাম। রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদালকে ছাড়িয়ে এগিয়ে চলেছেন নোভাক জোকোভিচ। তরুণ টেনিস খেলোয়াড়েরাও হারাতে পারছেন না ৩৬ বছরের ‘বুড়ো’কে। ইউএস ওপেন জয়ী সার্বিয়ায় ফিরে পেলেন বীরের সম্মান। মানুষের ভালবাসা দেখে চোখের জল আটকাতে পারলেন না জোকোভিচ।
বেলগ্রেডের বিখ্যাত বারান্দায় নাগরিক সংবর্ধনা জানানো হয় জোকারকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সার্বিয়ার বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড়েরাও। কয়েক দিন আগে বাস্কেটবল বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে সার্বিয়া। তাই জোকোভিচের সঙ্গে বাস্কেটবল দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন কয়েক হাজার ক্রীড়াপ্রেমী।
বাস্কেটবল খেলোয়াড়েরা সংখ্যায় অনেক জন থাকলেও মধ্যমণি ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়ই। সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীরা তো বটেই, বাস্কেটবল খেলোয়াড়েরাও মেতে ওঠেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে ঘিরে। তাঁকে ঘিরে সকলের উচ্ছ্বাস দেখে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি জোকোভিচ। আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁর কান্নার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ইউএস ওপেন জেতার পর জোকোভিচ জানিয়েছেন, অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন না। যখন তরুণ খেলোয়াড়েরা তাঁকে ধারাবাহিক ভাবে হরাতে পারবেন, তখন ভাবতে পারেন। তাঁর কোচ গোরান ইভানোসেভিচ জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের অলিম্পিক্সও খেলতে চান জোকার।