দুরন্ত: চোট সামলে চার সেট লড়ে জিতলেন জ়োকোভিচ। রয়টার্স।
মেজাজ হারিয়ে কোর্টে র্যাকেট আছড়ে ভেঙেছেন। ভুল শট মেরে ম্যাচের মধ্যে নিজের উপরেই রেগে গিয়েছেন বেশ কয়েক বার। আবার সেট জিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে হুঙ্কার দিতেও। শেষ পর্যন্ত তিনি— নোভাক জ়োকোভিচ মঙ্গলবার অস্ট্রেলীয় ওপেনের সেমিফাইনালে উঠলেন আলেকজান্ডার জ়েরেভের চ্যালেঞ্জ সামলে।
ফল ৬-৭ (৬), ৬-২, ৬-৪, ৭-৬ (৬)। প্রথম গেম থেকেই ম্যাচে নাটকীয় মুহূর্তের অভাব ছিল না। প্রথম ও তৃতীয় সেটে জ়েরেভ এগিয়ে গিয়েছিলেন। জ়োকোভিচ প্রথম সেটে না পারলেও তৃতীয় সেটে জ়েরেভের বিরুদ্ধে ফিরে আসেন ১-৪ পিছিয়ে পড়ার পরেও। তৃতীয় রাউন্ডে টেলর ফ্রিটজের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে পেটে চোট পান জ়োকোভিচ। সেই চোট সামলাতে চতুর্থ সেটে ফের ব্যান্ডেজ বাঁধতে দেখা যায় চোটের জায়গায়। এর পরে ৩৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে ওঠেন সার্বিয়ান তারকা। ফাইনালে ওঠতে তাঁকে খেলতে হবে রাশিয়ার আসলান
কারাতসেভের বিরুদ্ধে।
তার আগে পুরুষদের মধ্যে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অভিষেকে যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে লড়াই করে সেমিফাইনালে উঠার নজির গড়েন কারাতসেভ। যাঁর বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১১৪। গ্রিগর দিমিত্রভের বিরুদ্ধে ২৭ বছর বয়সির স্বপ্নের দৌড় অব্যহত থাকে ২-৬, ৬-৪, ৬-১, ৬-২ জয়ে। ওপেন যুগে পুরুষদের মধ্যে এই প্রথম কারাতসেভ এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। অস্ট্রেলীয় ওপেনে ১৯৭৭ সালে বব জিলটিনানের পরে দ্বিতীয় পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে কোয়ালিফায়ার থেকে শেষ চারে ওঠার নজির রেকর্ডও গড়লেন তিনি।
একেবারে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবেন ভেবেছিলেন? জানতে চাইলে কারাতসেভ বলেছেন, ‘‘একেবারেই নয়। আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল গত মরসুমের শেষে সেরা ১০০-র মধ্যে উঠে আসা। কিন্তু সেটা হয়নি। এ বারও তাই একই লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। এই জয়টা অবিশ্বাস্য। প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করছি।’’ তাঁর প্রতিপক্ষের অবশ্য সোমবার থেকেই পিঠের চোটের সমস্যা ছিল। ম্যাচের মধ্যে যা আরও বাড়ে। সার্ভিস করতেও সমস্যা হচ্ছিল যে জন্য দিমিত্রভের। ‘‘ম্যাচের আগে মোজা পরতে পারছিলাম না। যত ম্যাচ গড়িয়েছে ততই সমস্যাটা বেড়েছে,’’ বলেন দিমিত্রভ।