বরণ: অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাল পরিয়ে দিচ্ছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সোমবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। রন্ধনপটুও। বিশ্বের হেন কোনও রান্না নেই, জানেন না। ইচ্ছে আছে রান্নার বই লেখার। খেলাধুলোও সে রকমই ভালবাসেন। টেনিস-ভক্ত। নিয়মিত খেলাও দেখেন। নিজেও টেনিস খেলেন। তিনি— অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাউথ ক্লাবে সংবর্ধনা জানানোর অনুষ্ঠানে যাঁকে ঘিরে উঠে এল নানা প্রসঙ্গ।
এ বছর শতবর্ষ উদ্যাপন করছে সাউথ ক্লাব। সারা বছর ধরেই তার জন্য নানা কর্মসূচি নিয়েছে কলকাতার ঐতিহ্যশালী টেনিস ক্লাব। যার শুরু নোবেলজয়ীকে সংবর্ধনা দিয়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাঁকে শাল পরিয়ে বরণ করে নেন সাউথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। শুধু সংবর্ধনাই নয়, তাঁকে ক্লাবের সাম্মানিক সদস্যপদও দেওয়া হল এই অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি ক্লাবের শতবার্ষিকী লোগো, টি-শার্ট উদ্বোধন করেন নোবেলজয়ী।
টেনিস নিয়ে কতটা উৎসাহী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘নিয়মিত টেনিস খেলা দেখি। সপ্তাহে দু’দিন বা তারও বেশি টেনিস খেলিও। টেনিস আমাকে শিখিয়েছে ব্যর্থতার মধ্যেও আনন্দ রয়েছে। টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আমি বিরাট প্রতিভাবান, এমন নয়। তবে প্রচণ্ড উৎসাহী।’’ শুধু টেনিসই নয়, টেবল টেনিস, ফুটবল নিয়েও নোবেলজয়ী খুব উৎসাহী। সময় পেলেই ছাত্রদের সঙ্গে টেবল টেনিস খেলতে নেমে পড়েন। সাউথ ক্লাবে সাতের দশকে বিজয় অমৃতরাজের খেলা, জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ও প্রেমজিৎ লালের ডাবলস ম্যাচ দেখেছেন। ১৯৭৫ সালে শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের ৫-০ গোলে মোহনবাগানকে হারানোরও সাক্ষী ছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের ৫-০ মোহনবাগানকে বিপর্যস্ত করার সময় আমি মাঠে ছিলাম।’’ প্রিয় টেনিস খেলোয়াড় কে? ‘‘রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচের খেলা কে না দেখে। তার সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের কয়েক জনের খেলাও খুব ভাল লাগে। আলেকজান্ডার জেরেভ, ক্যারেন খাচানভও দুরন্ত খেলে,’’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রায়ান্টের মৃত্যুতে বাগ্রুদ্ধ ড্যানিয়েল
আরও পড়ুন: জিতেও কোবি প্রয়াণের শোকে আচ্ছন্ন নাদাল