সাংবাদিক সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও কোচ মাইক হেসন। ছবি: পিটিআই।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই ভারতে পৌঁছে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। তার আগে ভারতের স্পিন আক্রমণ ভাবাচ্ছে উইলিয়ামসনদের। তাঁদের সব থেকে বেশি চিন্তায় রেখেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন অ্যান্ড কোম্পানী। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন কোনও রাখ ঢাক না করেই তাঁদের ভয় স্বীকার করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে উইলিয়ামসন বলেন, ‘‘শেষ সিরিজে স্পিম একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল। ব্যাটিংটাই কটিন হয়ে পড়েছিল। আমাদের কাছেও তিনজন খুব ভাল স্পিনার আছে। ভারতের ঘরের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে খেলাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু দল হিসেবে আমরা লড়াই করব।’’
কোচ হেসনও স্পিন আতঙ্কে আক্রান্ত। তাঁর মতে ভারতের মতো স্পিন ফ্রেন্ডলি কন্ডিযন তৈরি করা নিউজিল্যান্ডে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বুলাওয়েতে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে এলাম।ওই সিরিজে স্পিনই রাজত্ব করেছে। উইকেট স্লো ছিল। ভারতের উইকেটও একই। কিন্তু একই রকম পরিবেশ তৈরি সম্ভব নয় দেশের মাটিতে।’’ তবে নিজেদের স্পিনারদের নিয়ে আশাবাদী কোচ। মিশেল সাতনার, সোধিদের উপর ভরসা রাখছেন তিনি। তার মতে, কোকাবুরা বলে এই টেস্ট সিরিজে মানিয়ে নেবেন স্পিনাররা। বলেন, ‘‘আমাদের দলে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্পিনার রয়েছে। যারা এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। সিমারদের মধ্যেও পরিবর্তন আসবে। আমাদের বোলাররা উপ-মহাদেশের বোলারদের মতো হয়তো বল করতে পারবে না। কিন্তু সুযোগ তৈরি তো হবেই।’’
টিম সৌথি ও ট্রেন্ট বোল্টকে নিয়েও আশাবাদী কোচ। তিনি বলেন, ‘‘ওদের মধ্যে রিভার্স সুইংয়ের প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি ও বল নির্বাচনটা বুঝতে হবে। তবে প্রথম টেস্ট শুরু হলে বুঝতে পারব পিচ ঠিক কী ব্যবহার করছে।’’ তবে রিভার্স সুইং যে ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দিতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হেসন। তার মতে, যেখানে খুব বেশি সিম মুভমেন্ট কাজে লাগবে না তখন অন্য কোনও রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। সেটা রিভার্স সুইং। যা নিয়ে আমরা আগামীতে কাজ করব।’’
আরও খবর
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০০তম টেস্ট ভারতের