কমনওয়েলথ গেমসে যেতে না পেরে হতাশ নীরজ। ফাইল ছবি।
কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের জাতীয় পতাকা বহন করার কথা ছিল নীরজ চোপড়ার। সেই সুযোগ হারিয়ে হতাশ অলিম্পিক্স সোনাজয়ী জ্যাভলার।
কমনওয়েলথ গেমসে আরও এক বার তাঁর সঙ্গে গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটারসের লড়াইয়ের সুযোগ ছিল। স্টকহোম ডায়মন্ড লিগ এবং বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পিটারসের কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে। বার্মিংহ্যামে গত দু’টি হারের বদলা নেওয়ার সুযোগও হারালেন নীরজ। কিন্তু সেই সুযোগ পরেও পাবেন। তিনি বেশি হতাশ বার্মিংহ্যামে জাতীয় পতাকা বহনের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায়।
কুঁচকির চোট গুরুতর না হলেও ঝুঁকি নিতে চাননি নীরজ। চিকিৎসকদের পরামর্শে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন কমনওয়েলথ গেমস থেকে। এমআরআই স্ক্যান রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা নীরজকে এক মাস বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গত কমনওয়েলথ গেমসে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতেছিলেন নীরজ। এ বার নিজের খেতাব ধরে রাখার সুযোগ হারিয়ে তিনি হতাশ। ২৪ বছরের অ্যাথলিট নিজের খারাপ লাগার কথা জানিয়ে নেটমাধ্যমে লিখেছেন, ‘খুব হতাশ লাগছে। নিজের খেতাব ধরে রাখতে পারব না। বেশি খারাপ লাগছে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার একটা সুযোগ হারানোয়। ভারতীয় দলের পতাকা বহনের সম্মান পেয়েছিলাম। এই সুযোগ বার বার আসে না। সেটাও হারাতে হচ্ছে।’
হতাশ হলেও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। নীরজ লিখেছেন, ‘আপাতত সুস্থ হওয়াই প্রধান লক্ষ্য। আশা করছি দ্রুত মাঠে ফিরতে পারব। গত কয়েক দিনে সারা দেশের বহু মানুষ আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। সকলকে ধন্যবাদ। সকলকে অনুরোধ করব একই ভাবে আমাদের অন্য অ্যাথলিটদেরও সমর্থন করুন আগামী সপ্তাহে বার্মিংহ্যাম গেমসে। জয় হিন্দ।’
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয়ের পরেই নীরজ জানান চতুর্থ থ্রোয়ের সময়ই কুঁচকিতে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। যে কারণে শেষ দু’টি থ্রোয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। কমনওয়েলথ গেমসে না খেলার সিদ্ধান্ত অবশ্য নীরজের একার নয়। জানিয়েছেন, ‘‘আইওএ, এএফআই, সাই সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই কমনওয়েলথ গেমসে না নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমেরিকার একাধিক চিকিৎসক আমার চোট পরীক্ষা করেছেন। চোট গুরুতর না হলেও, সকলেই বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’’
অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমস বা কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা বহন করার দায়িত্বকে বিশেষ সম্মান হিসাবেই দেখেন ক্রীড়াবিদরা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জাকার্তা এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তিনি জাতীয় পতাকা বহন করেছিলেন।