ছন্দে: মাদ্রিদ ওপেনেও দারুণ শুরু করলেন রাফায়েল নাদাল। রয়টার্স
ক্লে-কোর্টের মরসুমে যাঁর রাজ করার কথা তিনিই স্বমহিমায়। রাফায়েল নাদাল পেরিরা। মাদ্রিদ ওপেনে স্পেনীয় তারকার জয়যাত্রা শুরু হল কথাটা জোলো। আসলে নজিরের পর নজির গড়ার দিকেই এগোচ্ছেন রাফা। মাদ্রিদ মাস্টার্সের প্রথম রাউন্ডে ৬-৩, ৬-১ সেটে হারালেন ফ্রান্সের গ্যাল মফিসকে। যা ক্লে কোর্টে তাঁর টানা ৪৮ নম্বর সেট জেতাও। সঙ্গে নিজের প্রিয় সারফেসে টানা ২০টি ম্যাচ। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁর সামনে জন ম্যাকেনরোকে ছাপিয়ে ক্লে-তে টানা সেট জয়ের রেকর্ড করার সোনার সুযোগ।
মাদ্রিদে বুধবারটা নাদালের কাছে যতটা তৃপ্তির, ততটাই হতাশার বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর নোভাক জোকোভিচের জন্য। কেই নিশিকোরিকে প্রথম রাউন্ডে হারিয়ে নোভাক জানিয়েছিলেন, আবার তিনি তাঁর হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসই নতুন করে ধাক্কা খেল দ্বিতীয় রাউন্ডে। সার্বিয়ান টেনিস তারকা ব্রিটেনের কাইল এডমন্ডের কাছেও হেরে গেলেন। মজার ব্যাপার, ২৩ বছরের এডমন্ড এ বারের আগে ম্যাচ দূরের কথা, কখনও জোকোভিচের বিরুদ্ধে সেটও জেতেননি। কিন্তু মঙ্গলবার তিনিই অসাধারণ হয়ে ম্যাচ জিতে নিলেন ৬-৩, ২-৬, ৬-৩ সেটে।
অথচ জোকোভিচ মাদ্রিদে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন। নিশিকোরির বিরুদ্ধে যে মেজাজে তিনি শুরু করেছিলেন তাতে মনে হয়েছিল হয়তো এতদিনে চাকা ঘোরা শুরু হল। অবশেষে নোভাককে পুরনো ছন্দে দেখা যাবে। মাদ্রিদে নামার আগে টানা তিন ম্যাচে হেরেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘টেনিসের বাইরে থাকতে ভাল লাগছিল না। পরে বুঝলাম তাড়াহুড়োর দরকার ছিল না। তাই বারবার হেরে নিজের আত্মবিশ্বাসটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।’’ যে কারণে মাদ্রিদে প্রথম ম্যাচে জিতে ভীষণই খুশি হন জোকোভিচ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতেই আবার তাঁর টেনিস জীবনে নেমে এল ঘোর অন্ধকার!
পাশাপাশি মারিয়া শারাপোভা কিন্তু মাদ্রিদে সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ফ্রান্সের ক্রিস্টিনা ম্লাদেনোভিচকে ৬-৩, ৬-৪ সেটে হারিয়ে।