স্মিথদের স্লেজিং সামলানোর টোটকা হরভজন ও মুরলীর

হয় পাল্টা মারো, নয় হেসে ওড়াও

‘মাঙ্কিগেট’ ভারতীয় অফস্পিনারের ক্রিকেট কেরিয়ারে একটা বিতর্কিত অধ্যায় তৈরি করে দিয়েছিল। তেমনই ‘চাকার’ বদনাম জুটেছিল শ্রীলঙ্কান অফস্পিনারের। হরভজন সিংহ এবং মুথাইয়া মুরলীধরন— দু’জনেই জানেন অস্ট্রেলীয় প্রতিপক্ষ মানে কী!

Advertisement

রাজীব ঘোষ

পুণে শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৫
Share:

‘মাঙ্কিগেট’ ভারতীয় অফস্পিনারের ক্রিকেট কেরিয়ারে একটা বিতর্কিত অধ্যায় তৈরি করে দিয়েছিল। তেমনই ‘চাকার’ বদনাম জুটেছিল শ্রীলঙ্কান অফস্পিনারের। হরভজন সিংহ এবং মুথাইয়া মুরলীধরন— দু’জনেই জানেন অস্ট্রেলীয় প্রতিপক্ষ মানে কী!

Advertisement

ভারতে এসে স্টিভ স্মিথ হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, স্লেজিং চালিয়ে যাবেন তাঁরা। অস্ট্রেলী অধিনায়কের কথা শুনে হরভজনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, ‘‘এখানে এসে ওরা এ ছাড়া আর কীই বা করবে? ভাল ক্রিকেট তো আর খেলতে পারবে না। সে রকম দলও নয় ওদের। তাই ওরা মাঠে স্লেজিংটাই বেশি করলে অবাক হব না।’’ সঙ্গে যোগ করছেন, ‘‘ওরা হারতে শুরু করলেই স্লেজিং শুরু করে দেয়। এটাই ওদের হতাশা কাটানোর উপায়। এ ভাবেই ওরা মানসিক ভাবে চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা করে। ওদের ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজেদের মধ্যে স্লেজ করে বলে শুনেছি। এটা ওদের অভ্যাস।’’

মুরলীধরন আরও ভয়ঙ্কর স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়, ১৯৯৫-এর সফরে। আম্পায়ার ‘নো’ ডেকে দিলেন। তার পর যখনই বোলিং করতে এসেছেন মুরলী, গ্যালারি থেকে তাঁর নামে ধিক্কারধ্বনী ভেসে এসেছে। বেঙ্গালুরুতে আইপিএল নিলামের জন্য আসা মুরলী ফোনে বললেন, ‘‘ওই সফরের কথা আমি ভুলে যেতে চাই। জানতাম যে, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা স্লেজ করে। সে জন্য তৈরি হয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জানতাম না যে, অস্ট্রেলিয়ার মানুষগুলোও এত ভয়ঙ্কর। একজন ক্রিকেটারের জীবন যে তারা কতটা কঠিন করে তুলতে পারে, ভাবতেই পারিনি। তবে এখন আর ও সব নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’’

Advertisement

কিন্তু এই ভয়ঙ্কর স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই বা তা উপেক্ষা করে মাঠে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার উপায় কী? ভারতীয় ক্রিকেটারদের উদ্দেশে হরভজনের পরামর্শ, ‘‘অস্ট্রেলিয়া যখনই স্লেজ করা শুরু করবে, তখনই বুঝতে হবে ওরা হতাশ হয়ে পড়েছে। ওরা নিজেদের পারফরম্যান্সের ওপর আস্থা রাখতে না পারলেই এ সব করে। এই সময়টাতেই ওদের ওপর আরও চড়াও হতে হবে। পাল্টা কথা শুনিয়ে দিতে হবে ওদের।’’

আরও পড়ুন: লেভার কাপে ডাবলসের সঙ্গী হিসেবে রাফাকে চান রজার

মুরলীও মনে করেন, অস্ট্রেলিয়াকে ঘাড়ের ওপর চড়তে দেওয়া ঠিক হবে না। বলছেন, ‘‘অস্ট্রেলীয়দের পাল্টা শাসন করার উপায় বা সাহস থাকলে, সেটাই করা উচিত। না হলে উপেক্ষা করো। যখনই ওরা কটূ মন্তব্য করবে, নিজেদের মধ্যে সেটা নিয়ে হাসাহাসি করো। দেখবে, ওরা শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেবে।’’

দুই স্পিন-তারকারই ধারণা, কোহালিদের সামনে বেশ কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছে স্মিথের দল। মুরলী বলছেন, ‘‘ওদের স্পিনার তেমন কেউ নেই। প্রধান ভরসা সেই পেসার মিচেল স্টার্ক। ও একা কতটা কী করতে পারবে?’’ আর হরভজন তো বলেই দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া খারাপ খেললে ৪-০ হবে। আর ভাল খেললে বড়জোর ৩-০।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement