আলোচনা: চেন্নাইয়ের অনুশীলনের ফাঁকে ধোনি ও রায়না। টুইটার
চাপের মুখে দুরন্ত সব ইনিংস খেলার জন্য তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে এত বন্দিত। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে সর্বকালের সেরা ‘ফিনিশার’ মানা হয়। সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সামনেই আজ, শুক্রবার, অগ্নিপরীক্ষা চাপ কেটে বেরিয়ে আসার।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ব্যর্থ মরসুমের পরে এ বারের আইপিএলেও ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস যাত্রা শুরু করেছে হার দিয়ে। সব চেয়ে বড় কথা, ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ধোনি প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামেন সাত নম্বরে। যা দেখে সুনীল গাওস্করের মতো প্রাক্তন সোজাসাপ্টা বলে দেন, ধোনির উচিত আরও আগে ব্যাট করতে আসা। এত নীচে নেমে ঠিক করছে না।
সেই পরামর্শ মেনে কি ধোনি উপরের দিকে ব্যাট করতে আসবেন? তা নিয়ে যেমন কৌতূহল থাকবে, তেমনই নজর থাকবে ব্যাটসম্যান ধোনি কী করতে পারেন, তা নিয়েও। দীর্ঘ দিন ধরেই ধোনির ব্যাটে সেই তেজ দেখা যাচ্ছে না। তিনি কি পারবেন আগের মতো বিধ্বংসী হতে?
আইপিএলের বাকি সব দল চেন্নাইয়ের রহস্যময় পিচ ছেড়ে পালাতে পারলেই বোধ হয় খুশি হবে। একটাই দল আছে, যারা চেন্নাইয়ের বাইশ গজে খেলতে না পারার জন্য নিশ্চয়ই হতাশায় ভুগছে। যাদের ঘরের মাঠ চেন্নাই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
বছরের পর বছর ধরে চেন্নাইয়ের মন্থর, ঘূর্ণি পিচে খেলে সফল হয়েছে ধোনির দল। গ্রুপ পর্বে সাতটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলা যায়। এই ম্যাচগুলোতে সব সময়ই চেন্নাইয়ের স্পিনার-বন্ধু পিচ তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু গত বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলা হয়েছে। এ বারে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ হচ্ছে। যে কারণে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ নেই ধোনিদের। নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ হওয়ায় সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেখাচ্ছে তাঁদেরই।
এ বারের আইপিএলের প্রথম পাঁচটি ম্যাচ ধোনিদের খেলতে হচ্ছে ওয়াংখেড়েতে। যেখানে চেন্নাইয়ের থেকে সম্পূর্ণ অন্য রকম পিচ। প্রথম ম্যাচে ১৮৮ রান করেও ঋষভ পন্থদের দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে গিয়েছে সিএসকে। আজ, শুক্রবার, তাদের প্রতিপক্ষ বিপজ্জনক পঞ্জাব কিংস। যাদের দলে বিধ্বংসী সব ব্যাটসম্যান রয়েছে। কে এল রাহুল গত ম্যাচে ৫০ বলে ৯১ করেছেন। ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেল রান পেয়েছেন। দীপক হু়ডা চমক হিসেবে উঠে এসেছেন মাত্র ২৮ বলে ৬৪ করে। সেখানে ধোনির বোলিং প্রথম ম্যাচে ১৮৮ রান হাতে পেয়েও ম্যাচ জেতাতে পারেনি। যশ হেজ্লউড সরে দাঁড়ানোয় ভাল পেসারের অভাব রয়েছে। ভরসা বলতে দুই ভারতীয় মিডিয়াম পেসার, দীপক চাহার এবং শার্দূল ঠাকুর। চেন্নাইয়ে খেললে স্পিনের ভেল্কিতে বাজিমাত করে দিতে পারতেন ধোনি। কিন্তু ওয়াংখেড়েতে ঘূর্ণির চেয়ে গতির প্রভাব বেশি দেখা যায়। চেন্নাইয়ের অন্য দুই বিদেশি পেসার, লুনগি এনগিডি এবং জেসন বেহরেনডর্ফ নিভৃতবাসে থাকায় দ্বিতীয় ম্যাচেও নামতে পারবেন না। তবে পেসার নিয়ে সমস্যা রয়েছে রাহুলের দলেও। ঝাই রিচার্ডসন এবং রাইলি মেরিডিথ অনেক বেশি রান খরচ করেছেন গত ম্যাচে। সিএসকে ভক্তরা নিশ্চয়ই আশাবাদী হয়ে উঠছেন সুরেশ রায়না এবং মইন আলির ব্যাটিং দেখে। উইকেট তোলার জন্য ইমরান তাহিরকে এই ম্যাচে ধোনি নামান কি না, সেটাও দেখার।