সতর্কবার্তা: ধোনির সেই হুঁশিয়ারি মনে রেখেছেন শামি। ফাইল চিত্র
সতীর্থেরা ভুল করলে অধিনায়কের অসন্তুষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। কেউ মাঠেই সেই বিরক্তি প্রকাশ করেন। কেউ আড়ালে সতীর্থের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করেন। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছিলেন দ্বিতীয় বিভাগে।
সতীর্থদের উপরে রাগ করে মাঠে মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরাবরই শান্ত। কিন্তু এই ধোনিই এক বার চটেছিলেন মহম্মদ শামির উপরে। ২০১৪-র নিউজ়িল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় টেস্ট। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজ়িল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করতে পারলেই ম্যাচ জিতত ভারত। কিন্তু শামির বলে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহালি। তিনি তখন ১৪ রানে খেলছিলেন। জীবন ফিরে পেয়ে ম্যাকালাম ৩০২ রানের ইনিংস উপহার দিেয় দলকে হারের মুখ থেকে বাঁচান।
ম্যাচের চতুর্থ দিনে তাঁর বলে ম্যাকালামের ক্যাচ পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েন শামি। সে দিনই লাঞ্চের আগে আরও এক ব্যাটসম্যানের ক্যাচ পড়ে তাঁর বলে। মেজাজ হারিয়ে শামি লাঞ্চ বিরতির এক বল আগে ভয়ঙ্কর বাউন্সার দেন শামি। যা ধোনির মাথায় উপর দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। তাঁকে ডেকে সতর্ক করে দেন ধোনি।
ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে মনোজ তিওয়ারিকে তিনি বলেন, ‘‘১৪ রানে ম্যাকালামের ক্যাচ পড়ার পরে ভেবেছিলাম, ওকে আউট করে দেব। কিন্তু পরের দিন লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাট করে ও। দিনের শেষে বিরাটকে বলেছিলাম, কী করে ক্যাচ ফেললে?’’ আরও বলেন, ‘‘সেই পরিস্থিতি থেকে ৩০০ রান করে দেয় ম্যাকালাম। লাঞ্চের আগে আরও একজন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ পড়ে আমার বলে। লাঞ্চের এক বল আগে একটি বাউন্সার দিই, যা মাহি ভাইয়ের মাথার উপর দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে।’’
লাঞ্চ বিরতির সময় শামিকে ডাকেন ধোনি। কী বলেন? শামির উত্তর, ‘‘ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে মাহি ভাই আমাকে ডাকল। বলল, জানি তোমার বলে ক্যাচ পড়েছে। কিন্তু শেষ বলটা জায়গায় করা উচিত ছিল। আমি বলি, হাত থেকে পিছলে গিয়েছিল বল।’’
উত্তর শুনেই রেগে যান ধোনি। শামির কথায়, ‘‘মাহি ভাই কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলে, অনেকে আমার নেতৃত্বে খেলেছে, চলেও গিয়েছে। মিথ্যে বোলো না। আমি তোমার অধিনায়ক। অন্য কাউকে এ রকম বোকা বানানোর চেষ্টা কোরো। আমাকে নয়।’’