প্রশ্নের মুখে ধোনির কেরিয়ার। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যা প্রশ্ন তুলে দিল তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়েই। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আর কখনও দেশের হয়ে খেলেননি তিনি। আর কখনও কি তাঁকে দেখা যাবে সাত নম্বর লেখা জার্সিতে, তৈরি হল সংশয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ধোনি। টেস্ট কেরিয়ার থেমে গিয়েছিল ৯০ ম্যাচে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। গত বছরও বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিপত্রে গ্রেড এ তালিকায় ছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপের পর তিনি আর খেলেননি। ফলে, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য বোর্ডের চুক্তিপত্রের তালিকায় ঠাঁই হল না তাঁর। মোট ২৭ জন ক্রিকেটার রয়েছেন এই তালিকায়। কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের না থাকা নিয়েই চলছে চর্চা। তবে কি পরোক্ষে ধোনির বিদায়ের বার্তাই ফুটে উঠছে এই চুক্তিপত্রে না রাখার মাধ্যমে, উঠছে প্রশ্ন। ক্রিকেটমহলে শুরু হয়েছে চর্চাও।
প্রশ্নোত্তরে ফিরে দেখা ধোনির ক্রিকেট জীবন
বার্ষিক সাত কোটি টাকার গ্রেড এ প্লাস চুক্তিপত্রের তালিকায় আছেন মাত্র তিনজন— বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা ও জশপ্রীত বুমরা। বার্ষিক পাঁচ কোটি টাকার গ্রেড এ চুক্তিপত্রের তালিকায় আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানে, লোকেশ রাহুল, শিখর ধওয়ন, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, কুলদীপ যাদব, ঋষভ পন্থ। বার্ষিক তিন কোটি টাকার গ্রেড বি চুক্তিপত্রের তালিকায় আছেন ঋদ্ধিমান সাহা, উমেশ যাদব, যুজবেন্দ্র চহাল, হার্দিক পান্ড্য, ময়াঙ্ক আগরওয়াল। আর বার্ষিক এক কোটি টাকার গ্রেড সি চুক্তিপত্রের তালিকায় রয়েছেন কেদার যাদব, নবদীপ সাইনি, দীপক চাহার, মণীশ পাণ্ডে, হনুমা বিহারি, শার্দুল ঠাকুর, শ্রেয়াস আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দর। ধোনির মতো চুক্তিপত্র থেকে বাদ পড়লেন দীনেশ কার্তিক, অম্বাতি রায়ুডু, খলিল আহমেদ।
বোর্ডের চুক্তিপত্রে এই প্রথমবার জায়গা করে নিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল, নবদীপ সাইনি, শ্রেয়াস আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহাররা। ময়াঙ্ক ছাড়া প্রত্যেকেই রয়েছেন এক কোটি টাকার সি গ্রেডে। ময়াঙ্ক রয়েছেন বি গ্রেডে।