Mrittika Mallick

তাসের মোহ ছেড়ে ভারতসেরা বাংলার মৃত্তিকা! কী ভাবে, জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে

সবে জাতীয় স্তরে অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মৃত্তিকা মল্লিক। রাজ্যে ফেরার আগে ট্রেন থেকেই আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ২০:৪০
Share:

অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরের জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলার মৃত্তিকা মল্লিক। —ফাইল চিত্র

ভারতসেরা হয়েছেন সবে ২৪ ঘণ্টা হয়েছে। এখনও রাজ্যে ফিরতে পারেননি হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ে মৃত্তিকা মল্লিক। ট্রেন থেকেই আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন মৃত্তিকা। জানালেন, কী ভাবে দাবার প্রতি তাঁর ভালবাসা গড়ে ওঠে? আগামী দিনে তাঁর লক্ষ্য কী, সে কথাও জানালেন এই দাবাড়ু।

Advertisement

জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মৃত্তিকা। ১ থেকে ৯ মে পর্যন্ত পঞ্জাবের জলন্ধরে হয়েছে মেয়েদের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরের দাবা প্রতিযোগিতা। সেখানে সুইস পদ্ধতিতে ১১ রাউন্ডের খেলায় ৯.৫ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি। ৮ বছর বয়স থেকে দাবা খেলা শুরু মৃত্তিকার। তবে প্রথমেই দাবায় মজেননি তিনি। তাঁর ভাল লাগত তাস। মৃত্তিকা বললেন, ‘‘ছোটবেলায় দুপুরে সবাই ঘুমিয়ে পড়ত। পাড়ায় কিছু বয়স্ক মানুষ তাস খেলতেন। সেটা দেখতে খুব ভাল লাগত। কিছু বুঝতাম না, কিন্তু ভাল লাগত। সেটা দেখেই বাবা প্রতিবেশি মুকুন্দ সরকারের কাছে ভর্তি করিয়ে দেয়। দাবায় ওঁর বেশ নাম। ওঁর কাছেই প্রথম খেলা শুরু করি।’’

প্রথম বার দাবার প্রতিযোগিতায় গিয়ে এই খেলাকে আরও ভালবেসে ফেলেন মৃত্তিকা। তার পরেই ঠিক করে নেন, দাবা নিয়েই এগোবেন। মৃত্তিকা বললেন, ‘‘যাঁর কাছে শিখতাম তিনিই আমাকে প্রথম একটি প্রতিযোগিতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। দেখার জন্যই সেখানে গিয়েছিলাম। দেখলাম আমার থেকে বয়সে ছোট, বয়সে বড় কত দাবাড়ু। তার পরেই ঠিক করে নিই, দাবাই খেলব।’’

Advertisement

তিন মাস আগে থেকে দিব্যেন্দু বড়ুয়ার অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করছেন মৃত্তিকা। জাতীয় স্তরে নামার আগে অ্যাকাডেমির অনেক সাহায্য পেয়েছেন বলে জানালেন তিনি। মৃত্তিকা বললেন, ‘‘দিব্যেন্দু স্যরের অ্যাকাডেমিতে অনেক ক্লাস হয়েছে। দিনে তো ৬ ঘণ্টা ধরে ক্লাস হত। তার পরে অনুশীলন। এটা আমাকে খুব সাহায্য করেছিল।’’ বাংলায় দাবার উন্নতি দেখেও খুব খুশি মৃত্তিকা। তাঁর মতে, রাজ্যের দাবা ঠিক পথেই এগোচ্ছে।

এর আগে ২০২২ সালে এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন মৃত্তিকা। বিশ্ব স্তরে পদক এখনও পাননি। সেটাই তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য। মৃত্তিকা বললেন, ‘‘বিশ্ব ও এশীয় স্তরের প্রতিযোগিতা জিততে চাই। গত বার বিশ্ব স্তরে ভাল শুরু করলেও শেষে চতুর্থ হয়ে যাই। সেটা খুব খারাপ লেগেছিল। এ বার জিততেই হবে।’’ সামনে নাগপুর গ্র্যান্ডমাস্টার ওপেন প্রতিযোগিতা। সেখানে খেলবেন মৃত্তিকা। তবে সব দাবাড়ুদের মতো তাঁরও লক্ষ্য গ্র্যান্ড মাস্টার হওয়া। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement