পুণের দুই দল নিয়ে ফেডারেশনের জবাবদিহি চাই

ক’দিন আগে সকালে আনন্দবাজারের খেলার পাতায় চোখ রাখতে গিয়ে অবাক এবং কিছুটা হতভম্বও হয়ে গিয়েছিলাম! এত দিনে যদিও সকলেই জেনে গিয়েছেন, পুণের দু’টো টিম— পুণে এফসি আর ভারত এফসি আই লিগের জন্য আর টিম করবে না। দলই তুলে নিচ্ছে তারা।

Advertisement

সঞ্জয় সেন

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৪৮
Share:

ক’দিন আগে সকালে আনন্দবাজারের খেলার পাতায় চোখ রাখতে গিয়ে অবাক এবং কিছুটা হতভম্বও হয়ে গিয়েছিলাম!

Advertisement

এত দিনে যদিও সকলেই জেনে গিয়েছেন, পুণের দু’টো টিম— পুণে এফসি আর ভারত এফসি আই লিগের জন্য আর টিম করবে না। দলই তুলে নিচ্ছে তারা।

যে খবরে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নাকি খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। জরুরি মিটিং ডেকে একটা সমঝোতার রাস্তা বার করার চেষ্টা করছেন। এগারো দলের আই লিগ অন্তত নয় দলেরও হবে, না আরও কেউ ওই দুই ক্লাবকে অনুসরণ করবে, সেটা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন! তবে আমার প্রথমেই মনে হচ্ছে, ভারতীয় ফুটবল সঠিক লোকদের হাতে নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন দরকার। প্রয়োজনে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার পড়লে সেটাও নিতে হবে।

Advertisement

মূলত দু’টো কৌতুহল আমার—

এক) কীসের জন্য ভারত এফসি-কে আই লিগ খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল?

দুই) কী কারণে আবার ভারত এফসি এক বছরের মধ্যেই টিম তুলে নিল?

আমার কাছে গোটা বিষয়টাই ধোঁয়াশা।

এর পরেও যদি ধরে নিই, টাকাই একমাত্র কারণ কর্পোরেট দলগুলোকে খেলানোর, তা হলে ফেডারেশনের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হোক। সেই টাকা তারা কী খাতে খরচা করছে, বা তাদের চিন্তাভাবনা কী জানতে চাওয়া হোক?

আমার খুব খারাপ লাগছে, সেই ফুটবলারদের কথা ভেবে, যারা অনেক আশা নিয়ে এই দু’টো টিমে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। ওদের ফুটবল-ভবিষ্যতের দায়িত্ব এখন ফেডারেশনকে নিতে হবে। ভাবতে হবে, এই ফুটবলারদের ঘোর অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ভারতীয় ফুটবলের কোনও মঙ্গল হবে না।

লাইসেন্সিংয়ের শর্ত তুলে ভারতের ঐতিহ্যশালী ক্লাবগুলোকে নির্বাসনে পাঠানোর প্রক্রিয়া আগেই সেরে ফেলেছে ফেডারেশন। কিন্তু ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা কর্তারা, যাঁরা এক দল বেনিয়াকে (যার নাম আইএসএল) ফুটবলে ঢুকিয়ে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি চাইছেন, আমার মনে হয় তাঁদের বোধদয়ের সময় এসেছে এ বার। আই লিগ তথা ভারতীয় ফুটবলকে বাঁচাতে অবিলম্বে ডেম্পো, মহমেডান চার্চিল ব্রাদার্স, ইউনাইটেড স্পোর্টসের মতো ক্লাবগুলোকে ২০১৫ মরসুমের লিগে ফিরিয়ে আনা হোক। আই লিগ যদি চোদ্দো বা ষোলো দলের হয়, তা হলে বরং এই লিগ-ই ভারতীয় ফুটবলকে দিশা দেখাবে।

অনেক জায়গায় দেখি, কলকাতা লিগ নিয়েও প্রচুর অসন্তোষ ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কেন টুর্নামেন্টটা হচ্ছে? কী লাভ এই লিগ করে... ইত্যাদি ইত্যাদি।

এটা ঠিক যে, এক মাসের লিগ বিশ্বের কোনও দেশে হয় না। আবার এটাও ঠিক, এই লিগ আছে বলে এখনও প্রতীক চৌধুরী, সঞ্জয় বালমুচু, রাজা দাস বা আজহারউদ্দিনের মতো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্ধান পাই আমরা। একা আইএফএ-কে দোষ দেব না। যে ভাবে আইএসএল আর আই লিগের সূচি তৈরি হয়, তাতে বাংলা ফুটবল সংস্থার কিছু করার নেই বললেই চলে। তবে আমার মনে হয়, আরও একটু পরিকল্পনা করে এগোলে স্থানীয় লিগও আবার পুরনো জৌলুস ফিরে পাবে।

তাই আই লিগ আর কলকাতা লিগ দু’টোই দরকার। আসুন সবাই মিলে একটা ধাক্কা দিই। ভারতীয় ফুটবলকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।

শুক্রবারে কলকাতা ফুটবল লিগ

মোহনবাগান : টালিগঞ্জ অগ্রগামী (বারাসত, ৩-৩০)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement