সাইরাস গোল পেলেন। ছন্দে বেইতিয়া।
মোহনবাগান ২ টিসি স্পোর্টস ক্লাব ০
(সাইরাস, চামোরো)
শেখ কামাল ক্লাব কাপে টিকে রইল মোহনবাগান। বুধবার মলদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে ০-২ হারাল কিবু ভিকুনার ছেলেরা। প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও সবুজ-মেরুন শিবিরকে হারতে হয়েছিল ইয়ং এলিফ্যান্টসের কাছে। পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন বেইতিয়া। তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করার ঠিক পরমুহূর্তেই ইয়ং এলিফ্যান্টস গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়।
বুধবার বেইতিয়াদের পাসিং ফুটবল রং ছড়ায়। বোঝাপড়াও ফুটে ওঠে খেলায়। স্কোরলাইন বলছে, মোহনবাগান ২ টিসি স্পোর্টস ক্লাব ০। তবে গোল সংখ্যা আরও বাড়াতেই পারত সবুজ-মেরুন। ম্যাচের ৪ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ম্যাচের সেরা ড্যানিয়েল সাইরাস। ডিফেন্স রক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে উঠে গিয়ে গোল করতে পারেনি। সেটাই দেখা গেল আজ। মলদ্বীপের ক্লাবটির পেনাল্টি বক্সের ভিতরে জুলেন কলিনাসের কাছ থেকে গোলের গন্ধ মাখা পাস পেয়ে প্রথম গোলটি করেন সাইরাস।
খেলার শুরুতেই কোনও দল গোল পেয়ে গেলে অ্যাডভান্টেজ পায়। আত্মবিশ্বাস ফিরে পান ফুটবলাররা। কিবুর ছেলেদের খেলায় সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠছিল। বেশ কয়েকবার মলদ্বীপের ক্লাবটির গোলমুখ ওপেনও করে ফেলেছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ব্রিটো ও সুহের গোলের সংখ্যা বাড়াতেও পারতেন। কিন্তু, ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নরা অত সহজে শেষ হয় না, ধোনি-প্রসঙ্গে নিজের তুলনা টানলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ
দ্বিতীয়ার্ধেও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। চামোরোর শট বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। সেই চামোরোই ৬৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান। মলদ্বীপের ক্লাবকে হারিয়ে পরের ম্যাচের আগে অক্সিজেন পেয়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। ২৫ তারিখ মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে।