কখনও বেতন নিয়ে ঝামেলা। কখনও ফুটবলারদের চোট-আঘাত। আই লিগের শীর্ষে থেকেও নানা ধরনের সমস্যায় জেরবার মোহনবাগান। বাগানের এ বার নতুন সমস্যা— রক্ষণ।
শৌভিক ঘোষ আগেই চোট পেয়ে এ মরসুমেই ছিটকে গিয়েছেন। গোড়ালিতে চোট আনোয়ার আলির। তিনি এখনও অনুশীলনেই নামেননি। তার উপর আবার অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে আটকে রয়েছেন প্রীতম কোটাল। শুধু ডার্বি নয়, ২২ মার্চের ডেম্পো ম্যাচেও তিনি থাকছেন না। ভরসা বলতে সদ্য নেওয়া ডিফেন্ডার দীপক দেবরানি, যিনি এ দিন সরকারি ভাবে আইএফএ-তে সই করেছেন। আইএসএলে এফ সি পুণে সিটির হয়ে খেলেছিলেন দীপক। তিনি যদি ডেম্পো ম্যাচে বাগানের প্রথম একাদশে সুযোগ পান, তবে সেটাই হবে বাগানের জার্সি পরে তাঁর প্রথম ম্যাচ। স্বভাবতই বেশ দুশ্চিন্তায় বাগান কোচ সঞ্জয় সেন। হতাশ গলায় বললেন, “কী আর করব! যে ফুটবলাররা অবশিষ্ট থাকবে, তাদের নিয়ে খেলা ছাড়া তো উপায় নেই!”
শুধু রক্ষণ নিয়েই যে সমস্যা তা নয়। বলবন্ত সিংহ, সাবিথেরও চোট রয়েছে। তাঁরা কবে মাঠে ফিরবেন তা নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই। এ দিকে অনূর্ধ্ব-২৩ টিমে ডাক পেয়েছেন মণীশ ভার্গবও। কার্ড সমস্যার জন্য ডেম্পো ম্যাচে পাওয়া যাবে না সনি নর্ডিকে। আই লিগের বিরতির পর তাই কিছুটা হলেও যেন ব্যাকফুটে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
এ দিকে আইএসএলের ঢঙে দর্শক টানতে মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচে বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা রাখছে। এক হাজার টাকার দর্শকদের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। পাল্টা নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গলও। ২১ ফেব্রুয়ারি স্পোর্টিং ক্লুব ম্যাচে স্পেশ্যাল চেয়ারের ব্যবস্থা হচ্ছে। সেখানে আবার আড়াইশো টাকার টিকিটে থাকছে খাবারের ব্যবস্থা। দুই ক্লাবের তরফেই দাবি করা হয়েছে, পরিবার নিয়ে মাঠে যাতে আসেন সমথর্করা, সে জন্যই এই উদ্যোগ। মাঠে দর্শক আসছে না। বেঙ্গল, বাগানের এই উদ্যোগে যদি আসে!