বেইতিয়ার ভলি রিয়েল কাশ্মীরের জালে জড়ানোর ঠিক আগের মুহূর্ত। ছবি— ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মোহনবাগান ২ রিয়েল কাশ্মীর ০
(বেইতিয়া, নাওরেম)
কাশ্মীরে প্রবল ঠান্ডা। শূন্য ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা। এগিয়ে আনা হয়েছিল খেলার সময়। রবিবার ম্যাচের বল গড়ানোর আগেই শুরু হয় তুষারপাত। এ রকম কঠিন পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই মোহনবাগানের প্রাণভোমরা জোসেবা বেইতিয়া, ফ্রান গনজালেজদের।
তবুও রিয়েল কাশ্মীরকে হারাতে বেগ পেতে হয়নি মোহনবাগানকে। এ দিন বেইতিয়া ও নাওরেমের গোলে কিবুর দল ২-০ জিতে আই লিগের শীর্ষে পৌঁছে গেল। ৫ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট সবুজ-মেরুন শিবিরের।
রিয়েল কাশ্মীরের হয়ে বছর তিনেক আগে খেলেছেন কলকাতার ছেলে অয়ন দাসশর্মা। তিনি বলছিলেন, ‘‘বাইরের দলগুলোর পক্ষে কাশ্মীরে গিয়ে জেতা কঠিন ব্যাপার। উচ্চতা বেশি হওয়ায় শ্বাস নিতে সমস্যা হয় প্লেয়ারদের পক্ষে। তার উপরে ঠান্ডায় জমে যায় পা। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যায়।’’ আবহাওয়াই দ্বাদশ ব্যক্তির কাজ করে দেয়। তবুও ভূস্বর্গে ফুল ফোটাল মোহনবাগান।
আরও পড়ুন: ভেবেছিলাম আরও সুযোগ পাব, অবসর প্রসঙ্গে আক্ষেপ ঝরে পড়ল পাঠানের গলায়
কিবুর ছেলেদের খেলা দেখে অবশ্য মনেই হয়নি তাঁরা প্রতিকূল পরিবেশে খেলতে নেমেছেন। সদ্য দলের যোগ দেওয়া সেনেগালের বিদেশি পাপা দিওয়ারার একটা দৌড় কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল রিয়েল কাশ্মীরের রক্ষণে। সময় পেলে দাঁড়িয়ে যাবেন লা লিগায় খেলা এই ফুটবলার।
৭২ মিনিটে রিয়েল কাশ্মীরের পেনাল্টি বক্সের ভিতর থেকে ভলিতে গোল করে সবুজ-মেরুন শিবিরকে এগিয়ে দেন বেইতিয়া। তার এক মিনিট পরে নাওরেম ব্যবধান বাড়ান। ঘরের মাঠে রিয়েল কাশ্মীর বেশ শক্তিশালী দল। ভাল ফর্মে ছিলেন কাশ্মীরের বিদেশি স্ট্রাইকার কালাম। ম্যাচে তাঁকে ভয়ঙ্কর হতে দেননি সাইরাস ও ফ্রান মোরান্তে। বাগানের বারের নীচে শঙ্কর রায় দলকে নির্ভরতা দিয়ে গেলেন।
গত বছরের শেষের দিকে পয়েন্ট খোয়ানোর ফলে কিবু ভিকুনার চাকরি প্রায় যায় যায় অবস্থায় পৌঁছেছিল। বছর ঘুরতেই সাপ-লুডোর আই লিগের টেবলে এক নম্বরে মোহনবাগান। বেইতিয়ারা আশা জাগাচ্ছেন সমর্থকদের মনে।