দুরন্ত: টেস্টে প্রথম উইকেট পেয়ে সিরাজের লাফ। গেটি ইমেজেস
টেস্ট অভিষেকের আগে আর অশ্বিনের হাত থেকে টেস্ট ক্যাপ পান মহম্মদ সিরাজ। অশ্বিন মনে করিয়ে দেন, ‘‘নিজের যোগ্যতায় এই জায়গা আদায় করেছ।’’ ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকে সিরাজ জানিয়েছেন, সেই মুহূর্ত তাঁর জীবনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেকের দিনেই মার্নাস লাবুশেন ও ক্যামেরন গ্রিনের উইকেট পান সিরাজ। প্রথম দিনের শেষে ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “ভারতের টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার পরে মনে হয়েছিল, এর চেয়ে ভাল মুহূর্ত আর হয় না। আজ্জু ভাই (রাহানে) ও যসসি ভাই (বুমরা) আমাকে প্রচুর সাহস দিয়েছিল। বল করার জন্যও তাই তর সইছিল না। লাঞ্চের পরেই এল সেই বিশেষ মুহূর্ত।”
সিরাজের ইনসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান গ্রিন। প্রথম টেস্টে কী করে হাত থেকে বেরোল স্বপ্নের এই ডেলিভারি? তরুণ পেসারের উত্তর, “লাঞ্চের পরে প্রথম স্পেলে সুইং পাচ্ছিলাম না। দ্বিতীয় স্পেলে ঠিক করি পপিং ক্রিজের দৈর্ঘ ব্যবহার করে বল করব। ক্রিজের কোণ থেকে বল করেই সুইং পেতে শুরু করি। টানা দু’ওভার আউটসুইং খেলাই গ্রিনকে। হঠাৎ ইনসুইং দেওয়াতেই প্যাডে বল আছড়ে পড়ে গ্রিনের। ও জানত না, ইনসুইংই আমার মূল অস্ত্র।”
সিরাজের সাফল্যে মুগ্ধ রিকি পন্টিং থেকে গ্লেন ম্যাকগ্রা, যশপ্রীত বুমরা থেকে লাবুশেনও। কিংবদন্তি পেসার ম্যাকগ্রা বলেছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য একেবারে তৈরি ছিল ও।” রিকি পন্টিংয়ের কথায়, “প্রথম ম্যাচে ওর আগ্রাসন আমাকে অবাক করেছে। গ্রিনকে যে ভাবে ফাঁদে ফেলেছে, তা সত্যি অসাধারণ। এত দিন জানতাম, সিরাজ নতুন বলের বোলার। কিন্তু বল পুরনো হওয়ার পরেও সুইং পাচ্ছিল ও। সেটাই চাপে ফেলে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে।”
সিরাজের প্রথম টেস্ট শিকার, লাবুশেনের কথায়, “বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে সিরাজের বল বাইরের দিকে বাঁক নেয়। যা খেলা সত্যি কঠিন। সিরাজ কিন্তু খুব ভাল সুইং বোলার। দ্বিতীয় ইনিংসে ওকে দেখে খেলতেই হবে।” যোগ করেন, “আমরা আরও ভাল ব্যাট করতে পারতাম। এমন কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি, যা হারানোর কোনও মানে হয় না। দ্বিতীয় ইনিংসে আশা করি, এই ভুল হবে না আমাদের।”