বিশাখাপত্তনমে বিধ্বংসী শামি। ছবি: পিটিআই।
মহম্মদ শামির নজির প্রথম টেস্টে। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন বাংলার পেসার। পাঁচ উইকেট নেওয়ায় রবিবার শামি গড়লেন অনন্য কীর্তি। তাঁর এবং রবীন্দ্র জাডেজার দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানে থেমে যায় প্রোটিয়ারা।
১৯৯৬ সালে ভারত সফরে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে বার প্রোটিয়া পেসার ল্যান্স ক্লুজনার চতুর্থ ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তার পরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত কোনও টেস্ট ম্যাচে পাঁচটি উইকেট সংগ্রহ করলেন শামি।
ভারতের মাটিতে খেলা টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শামির ৫-৩৫ ষষ্ঠ সেরা। ল্যান্স ক্লুজনার (৮-৬৪), জাভাগল শ্রীনাথ (৬-২১), ভ্যানবার্ন হোল্ডার (৬-৩৯), মদনলাল ও কারসন ঘাউরির পরে রয়েছেন বাংলার পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে একটা সময়ে শামির রিভার্স সুইংয়ের জবাবই খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। ২০১৩ সালে ইডেন গার্ডেন্সে টেস্ট ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল রোহিত ও শামির।
আরও পড়ুন: এক হাতে জাডেজার দুর্দান্ত ক্যাচ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ক্যাচের ভিডিয়ো
সেই টেস্ট ম্যাচ প্রসঙ্গে ‘হিটম্যান’ বলেন, ‘‘কলকাতায় আমাদের দু’ জনেরই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। সেই পিচ এখানকার পিচের মতো ছিল না ঠিকই তবে ইডেনে বল পড়ে নিচু হয়ে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে বল দেরিতে আসছিল ব্যাটে। এই ধরনের পিচে কীভাবে বোলিং করতে হয়, তা শামির ভালই জানা।’’ পুরনো বলে রিভার্স সুইং করতে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন শামি। রোহিত বলছেন, ‘‘রিভার্স সুইং করা খুবই কঠিন। ঠিক জায়গায় বল পিচ ফেলতে হবে।’’
সেটাই করেছেন শামি। পাঁচটি উইকেটের মধ্যে চারটিই বোল্ড। সম্প্রতি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যশপ্রীত বুমরা চারটি উইকেট নিয়েছিলেন বোল্ড করে। এ বার করলেন বাংলার পেসার। শামির বোলিং ফিগার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রথম ইনিংসের থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশি ভয়ঙ্কর শামি। সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল বিশাখাপত্তনমে।