মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন।—ছবি সংগৃহীত।
কেন যে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছিল, এখনও তার উত্তর খুঁজে পাননি মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন। পাকিস্তানের একটি ওয়েবসাইটে আজ়হার বলেছেন, ‘‘কাউকে দায়ী করতে চাই না। আসলে আমাকে নির্বাসিত করার কারণটাই জানি না।’’ যোগ করেন, ‘‘ঠিক করেছিলাম শাস্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। ১২ বছর পরে হলেও অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে যখন বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় গেলাম, দারুণ আনন্দ পেয়েছিলাম।’’
দেশের হয়ে ৯৯টি টেস্ট খেলে আজ়হারের রান ৬১২৫। সঙ্গে ৩৩৪টি ওয়ান ডে-তে করেছেন ৯৩৭৮ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু হয় তিনটি সেঞ্চুরি দিয়ে। বরাবর সফল হয়েছেন ইডেনে। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরিও ইডেনে। বলছেন, ‘‘একজন দক্ষ ক্রিকেটারই একশোর বেশি টেস্ট খেলে। আমার ৯৯ টেস্ট খেলার রেকর্ড কে ভাঙল, তা নিয়ে ভাবি না। ১৬ থেকে ১৭ বছর খেলেছি (ভারতের হয়ে)। অধিনায়কই ছিলাম দশ বছর। এর বেশি কী চাইতে পারি!’’
পাকিস্তানের কিংবদন্তি জ়াহির আব্বাস তাঁকে খারাপ ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। তিনিও ইউনিস খানকে কঠিন সময়ে সাহায্য করেছিলেন। নমনীয় শরীরের জন্যই তিনি দুরন্ত ফিল্ডার ছিলেন বলে জানান। বলেছেন, ‘‘বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ফিল্ডিংকে গুরুত্ব দিত না। কিন্তু দারুণ ফিল্ডার ও ক্যাচার হতে পারলে, সেটা ভাল বোলিং বা ব্যাটিং করার মতোই কৃতিত্বের।’’