জল নষ্টের অভিযোগ ওড়ালেন ধোনির বাবা

দেশজুড়ে চলা জল-বিতর্কে জড়িয়ে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নাম। রাঁচির যে হরমুর এলাকায় ভারত অধিনায়কের বাড়ি, গতকাল সেখানকার একদল বাসিন্দা অভিযোগ জানান ধোনির বিরুদ্ধে।

Advertisement

আর্যভট্ট খান l

রাঁচি শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৫
Share:

রাঁচির বাড়ির সুইমিং পুলে ধোনি। ঝাড়খণ্ডে খরার প্রেক্ষিতে যে পুল নিয়ে বিতর্ক। —ফাইল চিত্র

দেশজুড়ে চলা জল-বিতর্কে জড়িয়ে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নাম। রাঁচির যে হরমুর এলাকায় ভারত অধিনায়কের বাড়ি, গতকাল সেখানকার একদল বাসিন্দা অভিযোগ জানান ধোনির বিরুদ্ধে।

Advertisement

ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী অমর বাউরির কাছে তাঁরা অভিযোগ জানান যে, হরমুর বাসিন্দাদের অবস্থা মহারাষ্ট্রের খরাপ্রবণ এলাকা লাতুর-বাসীদের মতোই। এলাকায় টাইম কলের জল অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। যখন জল আসছে তখন জলের চাপ এতটাই কম যে এক বালতি জল ভরতে সময় লাগছে প্রায় আধ ঘণ্টা। পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। জলের অভাবে এই তীব্র গরমে তাঁরা রোজ স্নান পর্যন্ত করতে পারছেন না। এই অবস্থায় হরমুরই ভিভিআইপি বাসিন্দা ধোনির বাড়িতে রোজ সুইমিং পুলে ১৫ হাজার লিটার জল ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাঁচি নগর নিগমের সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেন ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী। ধোনির বাবা পান সিংহের কানেও যায় এই অভিযোগের খবর। এ দিন পুলিশ জানিয়েছে, পান সিংহ এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি পুরসভা ও আরগোরা থানায় তা লিখিত ভাবে জানিয়েওছেন। পান সিংহের দাবি, তাঁদের বাড়ির সুইমিং পুল গত ছ’বছর ধরে ব্যবহার করা হয় না। সুইমিং পুল যখন তৈরি হয়েছিল তখন প্রথম সাত দিন পুল ব্যবহার করেছিলেন ধোনি। কিন্তু তার পর দেখা গিয়েছিল, পুলের জলের জন্য পুল সংলগ্ন বাড়ির দেওয়াল ক্রমশ কালো হয়ে যাচ্ছে। তাই সুইমিং পুল ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে আর জল ভরা হয়নি। তখনই পুলের জল খালি করে দেওয়া হয়।

Advertisement

মন্ত্রী অমর বাউরি বলেন, “ধোনির বাবা একজন সচেতন নাগরিক। তিনি যখন লিখিত দিয়েছেন তখন তা সত্যি বলেই মনে করছি। তবে প্রয়োজন হলে থানার অফিসার ও পুরকর্মীরা ধোনির বাড়িতে গিয়ে সুইমিং পুলের অবস্থা দেখে আসবে।” নিরাপত্তার কারণে ধোনির হরমুর বাড়ির ভিতরে কার্যত মাছি গলতে পারে না। তাই বাড়ির ভেতর সুইমিং পুলের অবস্থা কী, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা প্রায় অসম্ভব। তবু কী ভাবে ও কেন এই অভিযোগ উঠল, খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

(টিসিএম)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement