ক্রিকেটের ধারাভাষ্য হোক বা অভিনয়, অথবা সঞ্চালনা— সব দিকেই পারদর্শী তিনি। এ বারের বিশ্বকাপেও মাঠ কাঁপাচ্ছেন যথারীতি। কখনও বিরাট কোহলির সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে আবার কখনও বা মাঠে নেমেই ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রিয় দল নিয়ে উত্তেজনার ছবি পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণের কাছে। তিনি রিধিমা পাঠক। ক্রিকেট দুনিয়ায় অন্যতম সফল মহিলা ধারাভাষ্যকার।
১৯৯০-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে জন্ম রিধিমার। প্রথমে মুম্বইয়ের কেমব্রিজ হাইস্কুল, পরে শিমলার লরেটো কনভেন্ট থেকে পড়াশোনা করেন।
এরপর পুণেতে রেডিও জকি হিসেবে কাজ শুরু করেন রিধিমা। সেখান থেকেই তাঁর কেরিয়ার জগতের হাতেখড়ি। স্ক্রিপ্ট লেখা, সেলেবদের সাক্ষাৎকার নেওয়া সবই করতে হত তাঁকে।
কাজের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও তাঁর আগ্রহ ছিল প্রচুর। ছোট থেকেই ভাল রেজাল্ট করা মেয়েটি পুণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম হয়েই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
তাঁর একমাত্র ভাই ঈশান পাঠক দিদির মতো এই পেশায় আসেননি। এক বহুজাতিক সংস্থায় মার্কেটিং প্রধান হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি।
রিধিমার অভিনয় জীবনের শুরু হয় ‘পুণে টি সি’ নামক সিনেমার মধ্য দিয়ে। এ ছাড়াও ‘সেকন্ড চান্স’ এবং ‘ফোকাল শ্যাডো’ নামে দু’টি শর্টফিল্মেও অভিনয় করেছেন তিনি।
বহু পুরস্কারও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রয়েছে মিস ইন্ডিয়া মিরচি কুইন বি-এর সম্মান।
২০০৯-এ একটি প্রসাধনী সংস্থা আয়োজিত ‘ফ্রেস ফেস’ প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।
২০১৪ থেকেই বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলার চ্যানেলে পেশাগত ভাবে তিনি ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। পাঁচ শতাধিক লাইভ ফ্যাশন শো-তে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
নিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহালি, শাহরুখ খানের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকারও।
বেড়াতে ভালবাসেন খুবই। কাজের সূত্রে যদিও তাঁর সুযোগও চলে আসে প্রায়ই।
পছন্দের ক্রিকেটারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন বিরাট কোহালি এবং এবি ডিভিলিয়ার্স।