শামি। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের সব চেয়ে আকর্ষণীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ শুরু হবে আইপিএলের পরেই। ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈরথ। আইপিএল খেলেই সে দেশে উড়ে যেতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বিরাট কোহালির অন্যতম অস্ত্র মহম্মদ শামি মনে করছেন, আইপিএল খেলে যে ছন্দ পাওয়া যাবে, তা কাজে দেবে অস্ট্রেলিয়া সফরে।
আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলছেন শামি। দুবাই থেকে তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় যারা যাবে, তাদের বেশির ভাগই আইপিএল খেলছে। এটা খুব ভাল ব্যাপার। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় পা দেওয়ার সময় আমাদের শরীর এবং ক্রিকেটীয় ছন্দ ঠিক জায়গায় থাকবে।’’ ১০ নভেম্বর আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাওয়ার কথা কোহালিদের। যেখানে প্রথমে টি-টোয়েন্টি, তার পরে টেস্ট এবং সব শেষে ওয়ান ডে সিরিজ
খেলবে কোহালির ভারত।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। তার আগে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার শামি বলেছেন, ‘‘ও রকম একটা বড় সফরের আগে আমরা যে আইপিএল খেলে নিতে পারছি, এতে ভালই হবে। আইপিএল বাদ দিলে আমাদের অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়েই জোর আলোচনা চলছে। সবাই ওই সিরিজটা নিয়ে কথা বলছে। ভাল একটা লড়াই হবে।’’
এ বারের আইপিএল হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। যেখানে তিনটে কেন্দ্র— দুবাই, আবু ধাবি এবং শারজায় ম্যাচ হবে। শামি মনে করছেন, এ বারের যাতায়াতের ধকলটা কম হবে। ভারতীয় পেসারের কথায়, ‘‘মানছি, পরপর ম্যাচ থাকবে। তা ছাড়া ট্রেনিং আছে, একটা কেন্দ্র থেকে আর একটা কেন্দ্রে যাওয়া আছে। কিন্তু তাও বলব, এ বারে যাতায়াতের ধকলটা কমই হবে। বড় জোর বাসে দু’ঘণ্টা দূরত্বে যেতে হবে এক-আধটা ম্যাচ খেলতে। বিমানে করে এক কেন্দ্র থেকে আর এক কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারটা নেই।’’
পঞ্জাব ছেড়ে আর অশ্বিন এ বার দিল্লি ক্যাপিটালসে চলে যাওয়ার পরে শামিই দলের সব চেয়ে অভিজ্ঞ বোলার। তাঁকেই নেতৃত্ব দিতে হবে বোলিং আক্রমণের। নিজের ভূমিকা নিয়ে শামি বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় নিজের ভূমিকা ঠিক মতো পালন করার চেষ্টা করি। মাঠে নেমে একশো শতাংশ দিই। আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করব।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে স্ট্রাইক বোলার হিসেবে উইকেট নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। এতে দলও উপকৃত হবে।’’
এ বারের আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কোচ হয়েছেন অনিল কুম্বলে। নতুন কোচ সম্পর্কে শামির মন্তব্য, ‘‘আমার সঙ্গে অনিল কুম্বলের সম্পর্কটা খুব ভাল। কোচের সঙ্গে ভাল বোঝাপড়া থাকাটা খুবই জরুরি। নিজের মতামত সে ক্ষেত্রে তুলে ধরা যায়।’’ কয়েক দিন আগে কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন পরামর্শ দিয়েছিলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক জন বোলারকে যেন সর্বোচ্চ পাঁচ ওভার বল দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়। তা হলে ব্যাট-বলের দ্বৈরথ ভাল হবে। শামি অবশ্য একমত নন। কোহালির সতীর্থের মতে, ‘‘আমরা একটা নিয়মে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি। নিয়ম বদলালে কোনও লাভ হবে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই বোলারদের চাপে থাকার খেলা।’’
দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকাকালীন নিজের ফার্মহাউসে ট্রেনিং করেছেন শামি। দুবাইয়ে এসে গত বৃহস্পতিবার একটা প্র্যাক্টিস ম্যাচও খেলেছেন। নিজের ছন্দে সন্তুষ্ট তিনি।