কিবু-শঙ্করের দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন কিবুই।
মোহনবাগান-২, ভবানিপুর-০
(জেসুরাজ ২৯', নাওরেম ৫৭')
কল্যাণীতে ভবানীপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল মোহনবাগান। গোল পেলেন নাওরেম এবং জেসুরাজ। ডার্বির পরের ম্যাচ সবসময়ই কঠিন হয়। তবে এই দিন দুই বড় দলই জয় পেল।
প্রথমার্ধে মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন রোমারিও জেসুরাজ। ২৯ মিনিটের মাথায় ব্রিটোর ক্রস থেকে বল চলে আসে নাওরেমের পায়ে। তিনি পাস করে দেন জেসুরাজকে। গোল চিনতে ভুল করেননি দক্ষিণ ভারতের মিডিও। শুরুতেই ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কিমকিমা। একের পর এক আক্রমণ আসতে থাকে ভবানীপুরের গোল লক্ষ্য করে।
প্রথমার্ধে ব্যবধান না বাড়লেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। ৫৭ মিনিটে ডার্বিতে সুযোগ না পাওয়া চামারোর ক্রস থেকে গোলে করে যান নাওরেম। এর পরেই অনুপ দাস লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায়, ১০ জনে চলে যায় ভবানীপুর। চাপ বাড়লেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার: ফুটবলার হয়ে ভারতকে বিধ্বস্ত করা সেই কোম্যান আজ পরীক্ষা নেবেন সুনীলদের
আরও পড়ুন: সাদার্নকে হারিয়ে কলকাতা লিগের শীর্ষে চলে এল ইস্টবেঙ্গল
৭০ মিনিটের মাথায় চামারোকে তুলে নিয়ে বেইতিয়াকে নামান কিবু। ভবানীপুর গোলের সুযোগ তৈরি করলেও আসল কাজ করতে পারেনি। পুরনো দলের বিরুদ্ধে ভবানীপুর কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী দল সাজিয়ে ছিলেন প্রাক্তন মোহনবাগানিদের নিয়ে। চলতি মরসুমে ভবানীপুরের হয়ে সাতটি গোল রয়েছে কামোর। কিন্তু আজ তাঁকে মাথা তুলতে দেননি কিমকিমারা।
দুরন্ত ফুটবল খেলেন শেখ সাহিল। ম্যাচের সেরাও তিনিই। এখন দেখার পরবর্তী ম্যাচগুলো জিতে লিগ রেখে দিতে পারে কিনা মোহনবাগান। তিন নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গলের থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে তারা এখন পাঁচ নম্বরে।