দুরন্ত ঋদ্ধি। শনিবার পুণেয়।
কতদিন গড়াবে টেস্ট? বা, কতগুলো সেশন আর লাগবে ভারতের টেস্ট সিরিজ জিততে? একসময় এই প্রশ্নগুলোই ঘুরছিল ক্রিকেটমহলে। কিন্তু কেশব মহারাজ ও ভারনন ফিলান্ডারের নবম উইকেটে ১০৯ রানের জুটি লড়াইয়ে ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাতেও অবশ্য ফলো অন এড়ানোর পরিস্থিতিতে আসা গেল না। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ লগ্নে ২৭৫ রানে দাঁড়ি পড়ল সফরকারী দলের প্রথম ইনিংসে। ভারতের ৬০১ রানের চেয়ে যা ৩২৬ রান পিছনে। ফলে, ফলো অন করাতেই পারে বিরাট কোহালির দল।
এ দিন সকালে তিন উইকেটে ৩৬ নিয়ে শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চায়ের বিরতির আগে ১৬২ রানে আট উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। কিন্তু সেখান থেকে ফিলান্ডার ও মহারাজ নবম উইকেটে ক্রমশ হতাশ করে চললেন ভারতীয় বোলারদের। শেষ পর্যন্ত মহারাজকে (৭২)ফেরালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলবিডব্লিউ হলেন রাবাডা (২)। তাঁকেও নিলেন অশ্বিন। ফিলান্ডার অপরাজিত থাকলেন ৪৪ রানে।
এদিন প্রথম সেশন শেষ হওয়ার সময় ছয় উইকেটে ১৩৬ তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মধ্যাহ্নভোজের পর মুথুস্বামীকে (৭) এলবিডব্লিউ করেন রবীন্দ্র জাডেজা। তারপর অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসিকে (৬৪) ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চার উইকেট নিয়ে তিনিই ভারতের সফলতম বোলার। উমেশ যাদব নিলেন তিন উইকেট নিয়েছেন। শামি নিয়েছেন দুই উইকেট। জাডেজা নিয়েছেন এক উইকেট। ইশান্ত শর্মা কোনও উইকেট পাননি।
আরও পড়ুন: গ্রেটদের এই রেকর্ডগুলো থেকে ঠিক কতটা দূরে কিং কোহালি
আরও পড়ুন: টেস্টে কোহালির সপ্তম ডাবল সেঞ্চুরি, রেকর্ড ভাঙলেন ব্র্যাডম্যানেরও
দিনের তৃতীয় ওভারেই নৈশপ্রহরী নর্ৎজেকে (৩) ফেরান মহম্মদ শামি। বাড়তি বাউন্সে তাঁর খোঁচা চতুর্থ স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট কোহালি ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ধরেন দু’হাতে। ৪১ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। প্রোটিয়াদের পঞ্চম উইকেট পড়ে ৫৩ রানে। উমেশ যাদবের বলে ডি’ব্রুইনের (৩০) ক্যাচ প্রায় উড়ে গিয়ে প্রথম স্লিপের কাছে ধরেন উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলার উইকেটকিপার বোঝালেন, কেন তাঁকে ‘সুপারম্যান সাহা’ বলা হয়। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসি ও উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’কক। দু’জনে যোগ করেন ৭৫ রান।
যখন মনে হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এ বার গুছিয়ে নিতে চলেছে, তখনই ফের আঘাত হানলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ডি’কককে (৩১) বোল্ড করেন তিনি। ১২৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।