Mary Kom

সোনা না-জিতে থামবেনই না, সঙ্কল্প মেরির

২০১৬ রিয়ো অলিম্পিক্সে তিনি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। তাই সোনা জেতার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গিয়েছে মেরির।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩৬
Share:

লক্ষ্য: অলিম্পিক্সে সোনা জয়ই পাখির চোখ মেরির। ফাইল চিত্র

অলিম্পিক্সে সোনা জয় তাঁর স্বপ্ন। যত দিন না সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে, তত দিন লড়াই করে যাবেন তিনি। জানিয়ে দিলেন মেরি কম। ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় বক্সার ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। ২০১৬ রিয়ো অলিম্পিক্সে তিনি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। তাই সোনা জেতার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গিয়েছে মেরির।

Advertisement

জর্ডনে গত মাসেই দ্বিতীয় বার অলিম্পিক্সে নামার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। ‘‘আমার লক্ষ্য হল, ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে সোনা জেতা। এই বয়সেও লক্ষ্য পূরণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করাটা আমার জন্য সোজা ছিল না। এখন তো অলিম্পিক্স পিছিয়েও গিয়েছে,’’ স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) জন্য ফেসবুক লাইভ সেশনে বলেন মেরি। তিনি যোগ করেছেন, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বা অলিম্পিক্সে সাফল্য পাওয়ার জন্য আমার কোনও গোপন মন্ত্র নেই। যত দিন না অলিম্পিক্সে সোনা জিততে পারছি, তত দিন লড়াই চালিয়ে যাব।’’

জর্ডন থেকে ফেরার পরে দেশ জুড়ে লকডাউনের জন্য এখন বাড়িতেই আছেন মেরি। তবে এর মধ্যেও নিজেকে ফিট রাখার কসরত করে যাচ্ছেন তিনি। পাখির চোখ, অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ‘‘কোয়রান্টিন আছি ঠিকই, তবু বাড়িতে প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। যতটা সম্ভব নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি। যাতে লক্ষ্যপূরণ করতে পারি। অনেক সময় বাড়িতে এ দিক থেকে কিছু সমস্যা হয়, তবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো আমি খুব উপভোগ করি। আমার স্বপ্নপূরণের জন্য গোটা দেশের সমর্থন চাই,’’ বলেছেন মেরি। পাশাপাশি ৩৭ বছর বয়সি কিংবদন্তি ভারতীয় বক্সারের আবেদন, বাড়িতে থাকুন ও সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন। মেরি বলেছেন, ‘‘এ ভাবে এই অতিমারি আমাদের আঘাত করবে ভাবিনি। তাই সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে আমাদের। সরকার এবং চিকিৎসকদের সাহায্য করার সেরা এবং এক মাত্র উপায় হল, করোনাভাইরাসকে ছড়াতে না দেওয়া।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘জানি কাজটা সোজা নয়। তবে এখন এটাই করা প্রয়োজন। আমাদের ভালর জন্যই সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।’’

Advertisement

রাজ্যসভার সদস্য মেরি এর আগেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর এক মাসের বেতন প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে দান করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি সাংসদ তহবিল থেকে এক কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন করোনাভাইরাসের ত্রাণে সাহায্য করার জন্য। এ বার দেখার যোগ্যতা অর্জনের পরে দেশের কিংবদন্তি বক্সার আগামী বছর অলিম্পিক্সে তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে পারেন কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement