গলা এবং স্তন ক্যানসারকে হারিয়ে সুস্থ নাভ্রাতিলোভা। ছবি: টুইটার।
ক্যানসার মুক্ত মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। গলা এবং স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়। চিকিৎসার পর আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলস খেতাবের মালিক। ক্যানসারের ডাবলস জুটিকে হারিয়ে তিনি আবারও সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে সারা জীবনের অবদানের জন্য একটি সংস্থা সম্মানিত করেছে নাভ্রাতিলোভাকে। সেই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘ভীষণ কঠিন সময়ের মধ্যে যেতে হয়েছে আমাকে। তবে এখন ভাল আছি।’’ গত জানুয়ারি মাসে ৬৬ বছরের নাভ্রাতিলোভা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। একই সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার কথাও বলেছিলেন তিনি। গত নভেম্বরে তিনি লক্ষ্য করেন গলার কিছুটা অংশ ফুলে রয়েছে। পরীক্ষার পর জানা যায় নাভ্রাতিলোভা ক্যানসারে আক্রান্ত। তখনই ধরা পড়ে তিনি স্তন ক্যানসারেও আক্রান্ত। স্তনের ক্যানসার একদম প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল সে সময়।
গত মার্চ মাস থেকে টেলিভিশনে আবার টেনিস বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে নাভ্রাতিলোভাকে। তিনি বলেছেন, ‘‘চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, আমি ক্যানসার মুক্ত। যদিও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা।’’
অসুস্থতার পাশাপাশি টেনিস নিয়েও কথা বলেছেন নাভ্রাতিলোভা। তিনি বলেছেন, ‘‘টেনিস আমাকে এক বিস্ময়কর জীবন দিয়েছে। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। যখন খেলতাম তখন তো বটেই, অবসর জীবনেও সব সময় টেনিসকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’
সব মিলিয়ে ৫৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব রয়েছে নাভ্রাতিলোভার। ২০০৩ সালে ৪৬ বছর বয়সে শেষ খেতাব জিতেছিলেন। ১৯৯৪ সালে প্রথম বার অবসর নেওয়ার পর ২০০০ সালে আবার কোর্টে ফিরে এসেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় শুধু ডাবলস খেলতেন তিনি। সব মিলিয়ে ১৬৭টি সিঙ্গলস খেতাব জিতেছেন টেনিসজীবনে। ৩৩১ সপ্তাহ ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড়।