টেস্টের ধারাবাহিকতাই এ বার ওভারের ক্রিকেটে মেলে ধরতে চাইছেন লাবুশানে। ছবি: পিটিআই।
বিরাট কোহালি, স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন এবং জো রুট। এই প্রজন্মে বিশ্বক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় এই চারজনকেই চোখ বন্ধ করে রাখে ক্রিকেটমহল। আর এই চার জনের মতো সব ফরম্যাটে সফল হওয়াই লক্ষ্য মার্নাস লাবুশানের।
গত বছর অ্যাশেজে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কনকাসন পরিবর্ত হয়েছিলেন তিনি। স্টিভ স্মিথের বদলে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তার পর থেকে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়েছেন অজি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২০১৯ সালে ১১ টেস্টে ৬৪.৯৪ গড়ে ১১০৪ রান করেছিলেন তিনি। যা ছিল গত বছর টেস্টে কোনও ব্যাটসম্যানের সর্বাধিক রান। এর মধ্যে ছিল তিনটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফ-সেঞ্চুরি।
মার্নাস লাবুশানে এ বার চাইছেন টেস্টের ধারাবাহিকতা ছোট ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেও নিজেকে মেলে ধরতে। ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে এই ফরম্যাটে অভিষেক হবে তাঁর। গত বছর ভারতে এসে একদিনের সিরিজ ৩-২ ফলে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের দল সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যে লাবুশানে অজি শিবিরের বড় ভরসা হয়ে উঠছেন।
স্বয়ং লাবুশানের বড় ভরসা আবার বিশ্বক্রিকেটের চার তারকা। তিনি বলেছেন, “আমি কোহালি, উইলিয়ামসন, স্মিথ, রুটের মতো হতে চাই। ওরা দীর্ঘ দিন ধরে ধারাবাহিক থেকেছে। পাঁচ-ছয় বছর ধরে কোনও একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ধারাবাহিকতা দেখায়নি, বরং দুই বা তার বেশি ফরম্যাটে নিয়মিত রান করেছে। আমি তাই ব্যক্তিগত ভাবে অনেক কিছু শিখতে চাই, পরিণত হতে চাই। এই গ্রীষ্মে কিছু সাফল্য পেয়েছি। কিন্তু ধারাবাহিক থাকাই আমার কাছে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ।”
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ছয় ইনিংসে ৫৪৯ রান করেছেন লাবুশানে। গড় ছিল ৯১.৫০। ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য অন্য খেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই ফর্ম ধরে রাখতে পারাই আমার চ্যালেঞ্জ। নিজের খেলাকে অন্য ভাবে তুলে ধরার সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছি। এটা খুব উত্তেজক ব্যাপার হতে চলেছে আমার কাছে।”