Marnus Labuschagne

স্মিথের দক্ষতায় আস্থা লাবুশেনের

শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে লাবুশেন প্রশংসা করেন আর অশ্বিনেরও। তিনি মনে করেন, অশ্বিন এ বার সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:৪৪
Share:

—ফাইল চিত্র

ভারতের বিরুদ্ধে শেষ চার ইনিংসে এখনও হাফসেঞ্চুরি পাননি মার্নাস লাবুশেন। অস্ট্রেলিয়াও পেরোতে পারেনি আড়ইশো রানের গণ্ডি। তরুণ অস্ট্রেলীয় তারকা মনে করেন, ভারতের তৈরি করা ফাঁদে তাঁরা বেশ কয়েক বার পা দিয়েছেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনার সঙ্গে মোকাবিলা করার উপায়ও খোঁজা শুরু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সিডনি টেস্টেই যার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে লাবুশেন প্রশংসা করেন আর অশ্বিনেরও। তিনি মনে করেন, অশ্বিন এ বার সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন। লাবুশেন বলেছেন, “এই সিরিজের আগে কখনও অশ্বিনের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। জানতাম ও অনেক বড় মাপের স্পিনার। বড় স্পিনার না হলে কি এত উইকেট পাওয়া যায়?” যোগ করেন, “একেবারে তৈরি হয়ে খেলতে এসেছে অশ্বিন। খুব ভাল ফিল্ডিং সাজিয়ে সঠিক লাইনে বল করে গিয়েছে। ওদের তৈরি করা ফাঁদে বেশ কয়েক বার পা দিয়েছি আমরা।”

ভারতীয় বোলারেরা লেগসাইডে ফিল্ডিং সাজিয়ে ব্যাটসম্যানকে খেলতে বাধ্য করছেন। তাতেই তৈরি হচ্ছে সমস্যা। টেস্ট ক্রিকেটে এ ধরনের ফিল্ডিং দেখা যায় না। লেগস্টাম্প আক্রমণ করে বলও করেন না কেউ। অস্ট্রেলিয়া তাই ধরতে পারেনি, তাদের নতুন পরীক্ষায় ফেলবে ভারত। লাবুশেনের কথায়, “ভারতের স্পিনারদের সঙ্গে পেসাররাও খুবই শৃঙ্খলাপরায়ণ বোলিং করেছে। স্টাম্প আক্রমণ করে বল করেছে। খেলতে বাধ্য করেছে আমাদের। রানের গতিও কমে গিয়েছে এই পরিকল্পনার জন্য। লেগসাইডে ফিল্ডিং সাজিয়ে ক্রমাগত বল করে গেলে বাউন্ডারি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। যে সব শট খেলতে বাধ্য করছে, তাতে এক রানের বেশি পাওয়া যায় না।”

Advertisement

কী ভাবে এই পরিকল্পনার ফাঁস থেকে বেরোবেন? লাবুশেনের জবাব, “ভারতকে চাপে ফেলার কোনও একটা উপায় তো খুঁজে বার করতেই হবে। না হলে এই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে।”

শেষ দুই টেস্টে ব্যর্থ স্টিভ স্মিথও। এখনও পর্যন্ত দশ রান করেছেন চার ইনিংসে। তাঁর এই ব্যর্থতার কারণ কী? লাবুশেনের উত্তর, “আপনারা ব্যর্থতা বলতেই পারেন। এই স্মিথই কিন্তু প্রথম দুই ওয়ান ডে-তে সেঞ্চুরি করেছিল। তাও ৬০ বলের মতো খেলে। সেটা কিন্তু বেশি দিন আগে ঘটেনি।” সতীর্থের উপর আস্থা রেখে যোগ করেন, “আমি অন্তত স্মিথকে ব্যর্থ হিসেবে দেখি না। ৭৫টি ম্যাচ খেলেছে দেশের হয়ে। ওর গড় ৬০-এর ঘরে। ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকেই দেশের হয়ে রান করে আসছে। তাকে কী করে ব্যর্থ বলা যায়?”

মেলবোর্নে মোট আটটি ক্যাচ ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেন ফেলেছেন দু'টি। যদিও প্রস্তুতি কোনও খামতি নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। লাবুশেনের কথায়, “ক্যাচ কেন পড়ছে তা বলা সত্যি কঠিন। মনঃসংযোগের অভাবের জন্য পড়তে পারে। তবে আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে ক্যাচিং প্র্যাক্টিসে। যে যেই পজিশনে ফিল্ডিং করে, তাদের সে রকমই ক্যাচ দেওয়া হচ্ছে। যেমন শর্ট লেগের ফিল্ডার এক রকম অনুশীলন করছে। স্লিপের ফিল্ডাররা অন্য রকম।”

সিডনি টেস্টে কি নতুন ওপেনিং জুটি দেখতে পাওয়া যেতে পারে? লাবুশেনের উত্তর, “ওয়ার্নার ফিট হলে দলের জন্য সত্যি ভাল। সাত হাজারের উপরে টেস্ট রান রয়েছে। প্রচুর অভিজ্ঞতা। মাঠে আলাদাই উত্তেজনা তৈরি করে। ওয়ার্নার ফিরলে ব্যাটিং কিছুটা হলেও শক্তিশালী হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement