মার্কেটা ভন্দ্রোসোভা। —ফাইল চিত্র
বিশ্বের শীর্ষ বাছাই ইগা শিয়নটেককে হারানোর পরে উইম্বলডন জেতার বড় দাবিদার ছিলেন ইউক্রেনের এলিনা সোয়াইতোলিনা। কিন্তু সেমিফাইনালে তাঁকে দাঁড়াতেই দিলেন না চেক প্রজাতন্ত্রের মার্কেটা ভন্দ্রোসোভা। স্ট্রেট সেটে সোয়াইতোলিনাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন তিনি। ভন্দ্রোসোভা জিতলেন ৬-৩, ৬-৩ গেমে।
খেলার শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন ভন্দ্রোসোভা। তিনি বাঁ হাতি খেলোয়াড় হওয়ায় সমস্যায় পড়েন সোয়াইতোলিনা। ভন্দ্রোসোভার প্রধান অস্ত্র তাঁর শক্তিশালী ফোরহ্যান্ড। সেটা কাজে লাগাতে থাকেন তিনি। অন্য দিকে সোয়াইতোলিনার অস্ত্র তাঁর ব্যাকহ্যান্ড। কিন্তু ভন্দ্রোসোভা বাঁ হাতি হওয়ায় শটের অ্যাঙ্গল বদলে যাচ্ছিল। ফলে সমস্যা হচ্ছিল ইউক্রেনের খেলোয়াড়ের।
প্রথম সেটেই সোয়াইতোলিনার সার্ভিস তিন বার ভাঙেন ভন্দ্রোসোভা। অন্য দিকে সোয়াইতোলিনাও এক বার ভন্দ্রোসোভার সার্ভিস ভাঙেন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হল না। নিজের সার্ভিস ধরে না রাখতে পারার খেসারত দিতে হল সোয়াইতোলিনাকে। ৩-৬ প্রথম সেট হারলেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটে আরও দাপট দেখালেন ভন্দ্রোসোভা। পর পর সোয়াইতোলিনার দু’টি সার্ভিস ভাঙলেন তিনি। অন্য দিকে নিজের সার্ভিস ধরে রাখলেন। ফলে ৪-০ এগিয়ে যান তিনি। খেলা যত গড়াচ্ছিল তত হতাশ দেখাচ্ছিল সোয়াইতোলিনাকে। যেন হার মেনে নিচ্ছিলেন তিনি। অন্য দিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেললেন ভন্দ্রোসোভা। এক বারের জন্যও প্রতিপক্ষের উপর থেকে চাপ সরালেন না তিনি।
দ্বিতীয় সার্ভিসে দুর্বলতা ডোবালো সোয়াইতোলিনাকে। দ্বিতীয় সার্ভিস থেকে তাঁর পয়েন্টের শতাংশ মাত্র ৩১। সেখানে ভন্দ্রোসোভার দ্বিতীয় সার্ভিসের ৭৫ শতাংশ ঠিক ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে পঞ্চম গেম অনেক ক্ষণ ধরে হয়। বার বার ডবল ফল্ট করার জন্য সমস্যায় পড়ছিলেন ভন্দ্রোসোভা। সার্ভিস ভাঙার সুযোগ পান সোয়াইতোলিনা। সেটি কাজে লাগান তিনি। পরের গেমে নিজের সার্ভিস ধরে রাখেন সোয়াইতোলিনা। সপ্তম গেমে আবার প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভাঙেন তিনি। ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিলেন ভন্দ্রোসোভা। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি। নিজের সার্ভিস ধরে রাখেন। সোয়াইতোলিনার সার্ভিস ভাঙেন। শেষ পর্যন্ত ৬-৩ গেমে দিতে ম্যাচ নিজের নামে করেন ক্রমতালিকায় ৪৩ নম্বরে থাকা ভন্দ্রোসোভা।