Marcos de la Espada

এক ক্লাবে খেলা হল না, ‘শত্রু’ হয়েই থাকতে হচ্ছে মার্কোস-জোয়াকুইনকে

হংকং থেকেই দুই স্পেনীয় ফুটবলারের বন্ধুত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:২৫
Share:

ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকার মার্কোস। — ফাইল চিত্র।

সব ঠিকঠাক থাকলে দুই বন্ধু এক সঙ্গে খেলতে পারতেন ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু, বদলে গেল তাঁদের রাস্তা। মার্কোস দে লা এসপারা লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলছেন কলকাতায়। আর তাঁর বন্ধু জোয়াকুইন গার্সিয়ার নতুন ঠিকানা মাণ্ডবী তীরের ক্লাব চার্চিল ব্রাদার্স।

Advertisement

হংকং থেকেই দুই স্পেনীয় ফুটবলারের বন্ধুত্ব। মার্কোস খেলতেন কিটচিতে। পরে সাদার্নে। জোয়াকুইন খেলতেন ড্রিমস স্পোর্টস ক্লাবে। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি এশিয়ার ক্লাবে খেলছেন। একই দেশের দুই ক্লাবে খেলার সময় থেকেই মার্কোস ও জোয়াকুইনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

তা ছাড়া জোয়াকুইন ও মার্কোসের বান্ধবীরা একে অপরের খুব ভাল বন্ধু। সেই সুবাদে দুই ফুটবলারের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। মার্কোস পরে হংকং ছেড়ে ফিরে যান স্পেনে। জোয়াকুইন থেকে যান হংকংয়েই।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘সব পাক পেসার বল বিকৃত করে’ বলায় চাকরি গিয়েছিল কাদিরের

আরও পড়ুন: দীনেশ কার্তিককে শো কজ করল বিসিসিআই

এ বার দেশ বদলাচ্ছেন জোয়াকুইন। তাঁকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসার কথা বলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ১৮ নম্বর জার্সিধারী। ইস্টবেঙ্গলও সেই সময়ে ষষ্ঠ বিদেশির সন্ধানে ছিল। কিন্তু, ললাট লিখন বদলাবে কে? জোয়াকুইনের সঙ্গে চার্চিলের কথাবার্তা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল তখন। বন্ধু মার্কোসকে না বলে দেন জোয়াকুইন। চার্চিলের নতুন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের বলের উপরে নিয়ন্ত্রণ বেশ ভাল। ছোট ছোট পাসে আক্রমণ তৈরি করেন জোয়াকুইন।

(বাঁ দিকে) মার্কোস। জোয়াকুইন (ডান দিকে)

কোপা দেল রে (২০১৪-১৫ মরশুমে)-তে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন জোয়াকুইন। তখন তিনি করনেয়ার ফুটবলার। রিয়ালের বিরুদ্ধে ম্যাচটা হেরে গেলেও জোয়াকুইন মাঝমাঠে দাপট দেখিয়েছিলেন। জোয়াকুইন দ্রুতই এ দেশে এসে পড়বেন বলে খবর। জোয়াকুইনকে ভারতে আনছে অ্যাটলেটিক্স গ্লোবাল স্পোর্টস। স্পেনীয় ফুটবলারের চার্চিলে সই করার খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন সংস্থার কর্তারা।

লাল-হলুদ জার্সি পরে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন মার্কোস। আই লিগের জন্য তাঁকে তৈরি করছেন কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজ। আই লিগে দুই বন্ধুর ফের দেখা হবে। তখন অবশ্য তাঁরা একে অপরের ‘প্রতিপক্ষ’। দেশ বদল করলেও দুই বন্ধু খেলার মাঠে ‘শত্রু’ হয়েই থেকে যাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement