প্রতীকী ছবি।
গত ছ’বছরে পাঁচ বার ম্যানেজার বদলেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু সাফল্য অধরাই। সুদিন ফেরাতে ম্যান ইউয়ের দায়িত্ব নিতে চান দিয়েগো মারাদোনা!
১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক এই মুহূর্তে মেক্সিকোর দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব দোরাদোসে কোচিং করাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ম্যান ইউয়ের সেরা ম্যানেজার হতে পারি। তবে যদি ওরা আমাকে চায়।’’ মারাদোনা যোগ করেছেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে শুধু জার্সি, টি-শার্ট বিক্রি করলেই চলবে না, ট্রফিও জিততে হবে ম্যান ইউকে। আমি দায়িত্ব নিলেই তা সম্ভব হবে।’’
কেন ম্যান ইউয়ের ম্যানেজার হতে চান তিনি তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মারাদোনা। বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই ম্যান ইউ আমার প্রিয় ক্লাব ছিল। স্যর আলেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে অসংখ্য কিংবদন্তি ফুটবলার খেলেছে এই ক্লাবে। যা আমাকে ম্যান ইউয়ের ভক্ত হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। তবে এখন আমি ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সমর্থক।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ম্যান সিটির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কুন (সের্খিয়ো আগুয়েরো)। আমাদের মধ্যে প্রচুর কথা হয়। ওকে বলেছি, অসাধারণ দলে তুমি খেলছো।’’ পল পোগবা, আন্দের এরেরা-র খেলায় যে তিনি খুশি নন, গোপন করেননি মারাদোনা। তাঁর কথায়, ‘‘পোগবা ও এরেরা পরিশ্রমই করতে চায় না।’’ বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি তারকা পরের মরসুমে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ম্যান ইউ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনই ম্যানেজার পরিবর্তনের কথা ভাবছেন না। ওলে গুন্নার সোলসারের উপরেই আস্থা রাখছেন তাঁরা। জোসে মোরিনহোকে বরখাস্ত করে গত বছর মরসুমের মাঝখানে প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকার হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। সোলসারের কোচিংয়ে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ান পোগবারা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ইপিএল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোনও প্রতিযোগিতাই জিততে পারেননি তাঁরা। ম্যান ইউয়ের প্রাক্তন তারকাদের একাংশ সোলসারকে সরানোর দাবি তোলেন। ক্লাব কর্তারা যদিও তাতে প্রভাবিত হননি। পরের মরসুমের জন্য তাঁকেই দল গঠনের দায়িত্ব দেন। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন সোলসার। তাঁর নজরে এই মুহূর্তে স্পোর্টিং লিসবনের স্ট্রাইকার ব্রুনো ফার্নান্দেস।
২৪ বছর বয়সি পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ৫০ ম্যাচে ৩১ গোল করেছেন। ব্রুনোকে নেওয়ার জন্য ৭১ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬২৭ কোটি) দিতে তৈরি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। যদিও পর্তুগালের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ম্যান ইউ ছাড়াও ব্রুনোকে নেওয়ার জন্য ঝাপিয়েছে ম্যান সিটি, লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পারের মতো ক্লাব। শেষ পর্যন্ত পর্তুগিজ মিডফিল্ডার কোন ক্লাবে সই করবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।