আবদার: রিচাকে সামনে পেয়ে সই পেতে হুড়োহুড়ি রিচার স্কুলের পড়ুয়াদের। সোমবার শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া রিচা ঘোষকে নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। সোমবার বাড়ি ফিরল রিচা। তার পরে তার বাড়িতে কে যাননি! শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য থেকে পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, নান্টু পাল, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। সোমবার রিচা শহরে এসেছে মূলত পাসপোর্ট তৈরির কাজে। তার মধ্যেই বাড়ি বয়ে সংবর্ধনা জানাতে আসেন ওঁরা। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব শহরে নেই। তাঁর হয়ে রিচার বাড়িতে যান রঞ্জন। জানান, মন্ত্রী শহরে ফিরলে তিনিও যাবেন।
সামনে শিলিগুড়ি পুরভোট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, রিচার মতো নতুন ক্রিকেট তারকার পাশে থেকে, তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তার স্রোতে রাখতে চাইছেন নেতানেত্রীরা।
যদিও মেয়র বা অন্য নেতাদের দাবি— এর মধ্যে রাজনীতি নেই। শহরের গর্ব ওই মেয়ে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিশ্বকাপের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে সে এখন শহরের চোখের মণি। তাকে সংবর্ধনা, অভিনন্দন জানানো উচিত। অশোক, রঞ্জন তাই সশরীর যান। রাজু বিস্তা নিজে যেতে না-পারলেও অভিনন্দন জানান চিঠি পাঠিয়ে।
আরও পড়ুন: ওয়াংখেড়েতে ভারতীয় দলের অনুশীলনে চমক, কোহালিদের বল করলেন হার্দিক
মেয়রের কথায়, ‘‘আমি লোক দেখানো কাজ করি না। আমি খেলা প্রিয় মানুষ। রিচার হাত থেকে আমরা শুধু এখন রান চাই।’’ তিনি রিচাকে পার্সপোর্ট তৈরির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘জাতীয় দলে সুযোপ পেয়ে রাজ্যের নাম আরও উজ্জ্বল করল রিচা। ওকে তো সংবর্ধনা জানাতেই হবে। পর্যটনমন্ত্রীও সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ তাঁর আশা, রিচা আগামী দিনে জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সব ফর্মাটে (টেস্ট, একদিনের ম্যাচ, টি-টোয়েন্টি) খেলবে। ঋদ্ধিমানের মতো রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবে। পাসপোর্ট দ্রুত হওয়ার জন্য রিচার বাড়ি থেকেই বিরোধী দলনেতা পর্যটনমন্ত্রীকে ফোন করেন।
শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভপাতি প্রবীণ আগরওয়াল জানান, কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি যেতে পারেননি। আজ, মঙ্গলবার যাবেন। এর সঙ্গে রাজনীতি নেই। অন্য দিকে নর্থবেঙ্গল বোর্ড ফর ডেভেলপমেন্ট অব স্পোর্টস অ্যান্ড গেমসের ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পালও রিচাকে অভিনন্দন জানান। শিলিগুড়িতে রিচা সেখানে অনুশীলন করে সেই বাঘা যতীন ক্লাবে গেলে সেখান থেকে পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেন, পার্সপোর্টের জন্য ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ দ্রুত করার অনুরোধ জানাতে।