যশপাল রানা। —ফাইল চিত্র।
অনুশীলন চলছিল কর্নি সিংহ শুটিং রেঞ্জে। সেখান থেকে বার করে দেওয়া হল মানু ভাকেরের ব্যক্তিগত কোচ যশপাল রানাকে। যশপাল নিজেও ভারতের হয়ে শুটিং করেছেন। অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সেই যশপালকেই বার করে দিলেন ভারতীয় দলের হাই পারফরমান্স ডিরেক্টর পিয়ের বিউচ্যাম্প।
যশপাল ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা শুটার। এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন চার বার। তাঁকে রেঞ্জ থেকে বার করে দেওয়া হয় জাতীয় রাইফেল সংস্থার (এনআরএআই) নিয়ম দেখিয়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যশপাল বলেন, “শুটারেরা যেখানে অনুশীলন করছিল, আমি সেখান থেকে অনেক দূরে ছিলাম। কিন্তু বিউচ্যাম্প এসে বলে, আমি ওখানে দাঁড়াতে পারব না। আমাকে রেঞ্জ ছেড়ে বার হয়ে যেতে হবে। না হলে এনআরএআই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমি বলেছিলাম চিন্তা করার দরকার নেই। অর্জুন পেয়েছি আমি, জাতীয় দলেও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কিন্তু ও আমাকে বলে যে, আমি এখন আর জাতীয় দলের কোচ নই। সেই কারণে আমাকে বার হয়ে যেতে হবে। ও কে আমাকে বার হয়ে যেতে বলার? কী করেছে ও?”
এই ঘটনার পর এনআরএআই-এর তরফে বলা হয়েছে, “অলিম্পিক্সে শুটিংয়ে অনেক জনকে পাঠানো হবে। হাই পারফরমান্স ডিরেক্টরের অধীনে অনুশীলন চলছে। শুটার এবং তাদের ব্যক্তিগত কোচদের অনুরোধ করা হচ্ছে নিয়ম মেনে চলতে। তাতে খেলোয়াড়দের সুবিধা হবে।”
যশপালের হাতে মানু ভাকেরের মতো একাধিক তরুণ শুটার তৈরি হয়েছেন। তিনি এনআরএআই প্রধান কালিকেশ সিংহ দেও-কে চিঠি লিখে ঘটনাটি জানাবেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও জানাবেন যশপাল। তিনি বলেন, “ভারতীয় শুটিং সম্পর্কে বিউচ্যাম্প কী জানে? ও আমাকে বার হয়ে যেতে বলার পর, মানুকে গিয়েও বলে আমাকে বার হয়ে যেতে বলতে।”