প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই মনোজের সর্বাধিক রান। —ফাইল চিত্র।
অপ্রতিরোধ্য মনোজ তিওয়ারি। কল্যাণীতে সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তাঁর ত্রিশতরানের ইনিংসের দাপটে রানের পাহাড়ে চড়ল বাংলা। মনোজ তিনশো স্পর্শ করতেই সাত উইকেটে ৬৩৫ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।
রবিবার খেলার শেষে মনোজ অপরাজিত ছিলেন ১৫৬ রানে। পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলার রান ছিল ৩৬৬। সোমবার সেখান থেকেই শুরু করলেন মনোজ। ২৯৬ বলে পৌঁছলেন দ্বিশতরানে। প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে যা তাঁর ষষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরি। ২৫০ রানে পৌঁছতে মনোজ নিলেন ৩৭৭ বল। প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে প্রথম বার ত্রিশতরানে পৌঁছতে নিলেন ৪১৪ বল। মারলেন ৩০টি চার ও পাঁচটি ছয়।
২২ রানে দুই উইকেট পড়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন মনোজ। সেখান থেকে একপ্রান্ত আগলে রাখলেন তিনি। রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর ২২তম ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৭তম শতরানে পৌঁছনোর পর টানতে থাকলেন দলকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তাঁর সর্বাধিক ছিল ২৬৭। যা ছাপিয়ে গেলেন এদিন। শেষ পর্যন্ত ৩০৩ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি।
আরও পড়ুন: টসকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছি! ওয়ানডে সিরিজ জিতে দাবি কোহালির
আরও পড়ুন: ভারতের হাতে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া! কোহালিদের প্রশংসায় ভরিয়ে বললেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার
এই ইনিংস জাতীয় নির্বাচকদের তাঁর প্রতি উপেক্ষার জবাব বলে মনে করছে ক্রিকেটমহল। চ্যালেঞ্জার ট্রফি সহ জাতীয় স্তরের কোনও দলে তাঁর জায়গা হচ্ছে না। যা মানতে না পেরে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাঁর মন্তব্য জন্ম দিয়েছিল বিতর্কের। গত ডিসেম্বরের আইপিএল নিলামেও উপেক্ষিত থেকেছেন তিনি। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি।
কিছুদিন আগে ইডেনে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বাংলার ড্রেসিংরুম থেকে মনোজের অভিযোগে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল জাতীয় নির্বাচক দেবাং গান্ধীকে। যা নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। গত মরসুমেও তিনি ছিলেন বাংলার অধিনায়ক। কিন্তু এই মরসুমের গোড়া থেকেই অভিমন্যু ঈশ্বরনকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। এই মরসুমে রান পেলেও বড় রান আসছিল না তাঁর ব্যাটে। একবারই শুধু রঞ্জিতে পঞ্চাশের গণ্ডি ছাড়িয়েছিলেন। তাই মনোজের কেরিয়ারে এই তিনশো রানের ম্যারাথন ইনিংসের গুরুত্ব অপরিসীম।