ঐতিহাসিক: মুম্বই সিটির সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির যুক্ত হওয়ার ঘোষণা। মঞ্চে নীতা অম্বানী ও ম্যান সিটির সিইও ফেরান সোরিয়ানো। ছবি: আইএসএল।
চব্বিশ ঘণ্টা আগে মুম্বইয়ে যখন ভারতীয় ফুটবলের নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে, তখন কলকাতায় সবে পা রেখেছেন সৌভিক চক্রবর্তী, শুভাশিস বসুরা। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে মুম্বই সিটি এফসির নাম যুক্ত হওয়ায় শুধু উচ্ছ্বসিত নয়, রীতিমতো রোমাঞ্চিত ফুটবলারেরা।
আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন এখনও পর্যন্ত পূরণ হয়নি মুম্বই সিটি এফসির। বলিউড তারকা রণবীর কপূরের দল মাত্র একবারই শেষ চারে উঠেছিল। এই মরসুমে কেরল ব্লাস্টার্স এফসিকে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করার পরেই ছন্দপতন। শেষ চারটি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেননি মদৌ সওগৌ, পাওলো মাচাদোরা। তাঁরা হেরেছেন ওড়িশা এফসি ও এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ড্র করেছেন চেন্নাইয়িন এফসি ও নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির সঙ্গে। ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে সাত নম্বরে নেমে এসেছে মুম্বই। এই পরিস্থিতিতে ম্যান সিটির সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তিই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা জোগাচ্ছে।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এটিকের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন মুম্বইয়ের মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা সৌভিক বললেন, ‘‘ভাবতেই পারছি না, বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব ম্যান সিটি আমাদের ৬৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনে নিয়েছে। এর ফলে আমরা আধুনিক কোচিংয়ের সুযোগ পাব। আমাদের খেলার মানও বাড়বে।’’ ম্যান সিটি তারকা দাভিদ সিলভার ভক্ত বঙ্গ মিডফিল্ডার যোগ করলেন, ‘‘আশা করছি, ম্যান সিটি প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারদেরও তুলে আনবে।’’ মুম্বইয়ের আর এক বাঙালি তারকা শুভাশিসও একমত সৌভিকের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘‘ফুটবলার হিসেবে গর্বিত। ম্যান সিটির হাত ধরে অনেক পরিবর্তন হবে। আমরাও নতুন জিনিস শেখার সুযোগ পাব। গোটা দলই উপকৃত হবে।’’ শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে উচ্ছ্বসিত গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ বলেছেন, ‘‘এই চুক্তির ফলে শুধু মুম্বই সিটি নয়, ভারতীয় ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। আইএসএলের সৌজন্যে গত চার-পাঁচ বছরে প্রচুর উন্নতি হয়েছে ভারতীয় ফুটবলে। ম্যান সিটি যুক্ত হওয়ায় এর গতি আরও বাড়বে।’’ মুম্বই কোচ হর্হে কোস্তার কথায়, ‘‘আমি দারুণ উত্তেজিত। আমার আশা, ম্যান সিটির বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ক্লাব ও আইএসএলের আরও উন্নতি হবে।’’
আরও পড়ুন: আজ পাহাড়ে পরীক্ষা শুরু মোহনবাগানের
ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করার লক্ষ্যেই যে মুম্বই সিটি-র ৬৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনেছে ম্যান সিটি, জানিয়েছেন অন্যতম শীর্ষ কর্তা ড্যামিয়েন উইলোবি। তিনি বলেছেন, ‘‘শুধু ফুটবল নয়, সব ব্যাপারেই আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনে ক্লাব কেনার পরে এই পদ্ধতিতেই এগিয়েছি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ভারতের ফুটবল সংস্কৃতি বোঝা ও শেখা অত্যন্ত জরুরি। তার পরেই ক্লাব ও ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা সম্ভব।’’