বয়স ৪১। ২০১১ সেপ্টেম্বরের পর আর ডেভিস কাপে দেখা যায়নি। এটিপি ট্যুরেও গত দু’বছর নেমেছেন খুবই কম। কিন্তু ২০১৬-র প্রথম দু’মাসের ভেতরেই চারটে টুর্নামেন্টে নেমে দশটা ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। চলতি দিল্লি চ্যালেঞ্জার্সে দেশের এক নম্বর সিঙ্গলস তারকাকে (য়ুকি ভামব্রি) নিয়ে ডাবলস খেলছেন। পরের সপ্তাহে দুবাইয়ে পাক তারকা আইসাম কুরেশি পার্টনার তাঁর!
তিনি, মহেশ ভূপতির ভাবগতিক দেখে ভারতীয় টেনিসমহলে জল্পনা, তা হলে কি রিও অলিম্পিক্সে যাওয়াই লক্ষ্য দেশের সর্বকালের অন্যতম সফল ডাবলস তারকার? রিও যেমন লিয়েন্ডারের সপ্তম অলিম্পিক্স হতে চলেছে, মহেশেরও তেমন হতে পারে ছয় নম্বর অলিম্পিক্স। আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থার (আইটিএফ) নিয়মে সেটার সুযোগও রয়েছে। পেশাদার ট্যুরে একজন প্লেয়ার ছয় মাস না খেললে সে ‘পিআর’ বা প্রোটেক্টেড র্যাঙ্কিং নিয়ে ট্যুরে ফিরতে পারে। তার জন্য তাকে কেবল ন’টা টুর্নামেন্ট বা ন’মাস যেটা আগে হবে, খেলতে হবে। সেই প্লেয়ারের ‘পিআর’ হবে, তার প্রথম তিন মাস কোর্টের বাইরে থাকাকালীন গড় এটিপি র্যাঙ্কিং যা, সেটা। মহেশের এখন র্যাঙ্কিং ২৮৬। যা রিওর টিকিটের চূড়ান্ত দিন অর্থাৎ ৬ জুন আরও উন্নত হতেই পারে।
তার পরেও রিওতে নামতে মহেশের অন্তরায় হতে পারত ডেভিস কাপ রুল। যা বলছে, অলিম্পিক্স টেনিসে নামতে হলে সেই প্লেয়ারকে ‘অলিম্পিক্স সার্কেল’ অর্থাৎ ৪ বছরের মধ্যে কমপক্ষে তিনটে ডেভিস কাপ টাইয়ে তার দেশের স্কোয়াডে নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু ইতিমধ্যে আইটিএফ জানিয়েছে, ভারতীয় টেনিস সংস্থা (এআইটিএ) আইটিএফ অলিম্পিক্স কমিটির কাছে আবেদন করলে, যে প্লেয়ার ‘ডেভিস কাপ রুল’ পূর্ণ করছে না, তাকে রিওতে ছাড় দিতেও পারে।
ফলে দিল্লি ওপেনে মহেশের মন্তব্য ‘‘আমি নিছক আনন্দের জন্য খেলছি। অলিম্পিক্স আমার টার্গেট নয়,’’-কে টেনিসমহলে কেউ কেউ পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না। এই অংশের বরং ধারণা, রিওতে ভারতের সম্ভাব্য পদক ইভেন্ট মিক্সড ডাবলসে সানিয়ার জুড়ি হতে লিয়েন্ডার, বোপান্নার সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে চলেছেন মহেশও! তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনই বেঙ্গালুরুতে সানিয়া বলেন, ‘‘সবার মতো আমিও আশা করি, দেশের সেরা মিক্সড ডাবলস টিম রিও যাবে। কিন্তু এখনই বলা মুশকিল, ছয় মাস পর কে পুরো ফিট থাকবে আর কে থাকবে না!’’