অন্য-মাঠে: ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থা পরিচালিত টেনিস প্রতিযোগিতার ডাবলস ইভেন্টে শুক্রবার খেললেন মহেন্দ্র সিংহ ধোিন। পিটিআই
দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে গত বছর আইপিএলে সাড়া জাগিয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। আর সেই দুর্দান্ত ফিরে আসার নেপথ্যে ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শীতল মস্তিষ্ক।
বক্তার নাম? প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। যিনি আবার সিএসকে দলের মূল কর্ণধারও। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’বছর নির্বাসিত থাকার সময় চেন্নাই সুপার কিংসের ওপর দিয়ে অনেক রকমের ঝড় বয়ে গিয়েছে। সেই ধাক্কা সামলেই ২০১৮ সালে আবার ফিরে আসে সিএসকে।’’ সেখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘সচরাচর এই ধরনের ঝড়ে যে কোনও সাধারণ মানুষ সাঙ্ঘাতিক ভাবে আঘাত পেয়ে থাকেন। কিন্তু ধোনি শীতল মস্তিষ্কে যাবতীয় ঝাপটা সামলে সিএসকে-কে লক্ষ্যে অবিচল রেখেছিল। সেটাই দলকে আবার জয়ের সরণিতে ফিরিয়ে আনে।’’
বৃহস্পতিবার চেন্নাই আইআইটি পরিচালিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। যে অনুষ্ঠানে আলোচ্য ছিল, বিপর্যয়ের মুখে কী ভাবে যোগ্য নেতৃত্ব পারে সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে শ্রীনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন চেন্নাই সুপার কিংসের অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনের কাহিনিকে।
সাড়ম্বরে ফিরে আসার পরে এ বারও আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছিল তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের সিএসকে। কিন্তু রোহিত শর্মাদের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে মাত্র এক রানে হার মানতে হয় ‘ক্যাপ্টেন কুলের’ দলকে। শ্রীনি তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, যদি কোনও ব্যক্তির স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি থাকে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয়ে ওঠে, তখন কোনও প্রতিকূলতাই সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এবং সেই শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করতে তাকে আলাদা ভাবে কোনও প্রচারের সাহায্যও নিতে হয় না। তিনি বলেছেন, ‘‘ঝড়ঝঞ্ঝা তো যে কোনও সময়েই আসতে পারে এবং তা আঘাত করতে পারে কোনও ব্যক্তিকে। কোনও সময় তা আছড়ে পড়তে পারে কোনও সংস্থার উপরেও। রাজনীতিতেও তার প্রভাব পড়ে। সত্যি বলতে, জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে সেই ঝড়ের মুখে পড়তেই হয়।’’ কিন্তু সেই ঝড় সামলে পরিস্থিতিকে নিজের পক্ষে নিয়ে আসার উপরেই নির্ভর করে চূড়ান্ত সাফল্য।
আরও পড়ুন: সৌরভ পাশেই থাকছেন, বেশি চাপ নয়, বার্তা সঙ্গকারার
প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্টের পরামর্শ, ‘‘ঝড়ের ছায়াকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানো অর্থহীন। তার বদলে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়ে সকলের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। মনে রাখা দরকার, একটা ভুল সিদ্ধান্ত মুহূর্তের মধ্যে আপনাকে কুড়ি বছর পিছনে সরিয়ে দিতে পারে। ফলে অনেক বেশি বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘বাস্তবের জমিতে পা রেখে, পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করে এগিয়ে যেতে হবে। কঠোর পরিশ্রম এবং মানসিক দৃঢ়তাই পারে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে। আমার মনে হয়, নতুন প্রজন্মকে তা উপলব্ধি করতে হবে।’’