বিশ্বকাপে চারে ব্যাট করুক ধোনি

প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় এবং তার পরে এই আইপিএলে ধোনি খেলে চলেছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ওর এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।

Advertisement

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ০১:৪৩
Share:

অস্ত্র: বিশ্বকাপে ধোনির অভিজ্ঞতা ভরসা ভারতীয় দলের। ফাইল চিত্র

অনেক দিন ধরেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের চার নম্বর জায়গা নিয়ে অনেক আলোচনা শুনে আসছি। আমার মনে হয়, এই নিয়ে একটু বেশি কথা হচ্ছে। ভারতের হাতে তো এক জন চার নম্বর ব্যাটসম্যান আছেই। সেই ব্যাটসম্যানের নাম— মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কেন যে ধোনিকে চার নম্বরে ধারাবাহিক ভাবে নামানো হয় না, সেটাই আমার কাছে বড় রহস্য।

Advertisement

যে ভাবে প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় এবং তার পরে এই আইপিএলে ধোনি খেলে চলেছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ওর এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। অবশ্যই বিশ্বকাপে যে সব বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ধোনিকে খেলতে হবে, তা ওর কঠিন পরীক্ষা নেবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ধোনি দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না।

এক দিনের ক্রিকেটে ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বুঝে ব্যাট করার দক্ষতা ধোনির মতো কারও নেই। মানছি, ও হয়তো শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে পারবে না। কিন্তু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অনেকটা সময় পাবে ইনিংস তৈরি করার। এক বার উইকেটে জমে গেলে ধোনিকে বল করার মতো কঠিন কাজ আর কিছু নেই। আগ্রাসনের সঙ্গে সতর্কতা মিশে থাকে ওর ইনিংসে। বিশেষ করে রান তাড়া করার সময়।

Advertisement

এটাও স্বীকার করছি, ধোনির স্ট্রাইক রেটটা এখন কিছুটা কমে গিয়েছে। সেটা অবশ্য ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করে বলে। গত পাঁচ-ছ’ বছর ধরে ধোনি অনেক ভাবনা-চিন্তা করে ব্যাট করছে। তা ছাড়া ও চেষ্টা করে যত বেশি সম্ভব ওভার ব্যাট করার। রান তাড়া করার সময় ম্যাচটাকে শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ম্যাচ জিতিয়ে ধোনি বুঝিয়ে দিয়েছে ওর অঙ্কে কোনও

ভুল নেই।

ধোনির উইকেটকিপিং দক্ষতায় এতটুকু মরচে পড়েনি। বরং আরও যেন ভাল হয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ওর স্টাম্পিং বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধু উইকেটকিপিংয়ের দক্ষতাতেও ধোনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। ধোনির অভিজ্ঞতা, উইকেটের পিছনে ওর রিফ্লেক্স, ব্যাটিং ফর্ম, সবই কিন্তু ইংল্যান্ডে ভারতের খুব কাজে আসবে।

বিশ্ব ক্রিকেটে এ রকম খেলোয়াড় খুব কমই আছে, যারা শুধু নিজেদের উপস্থিতি দিয়ে একটা দলকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আমাদের সময় সে রকম ক্রিকেটার ছিল কপিল দেব। পরে আসে সচিন তেন্ডুলকর। ঠিক ওদের দু’জনের মতোই দলের সঙ্গে থেকে ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করতে

পারে ধোনি।

এই রকম ফর্মে থাকা ধোনি একটা গোটা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্ষেত্রে যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ধোনির নেতৃত্বে এই দলটাকে প্রায় অপরাজেয় দেখাচ্ছে। (টিসিএম)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement