লোরেঞ্জো।—ছবি এএফপি।
করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। তবে সান্তিয়াগো বের্নাবাউ-ভক্তদের স্মৃতিতে লেরোঞ্জো সানজ অমর রয়ে যাবেন আজীবন। আমস্টারডামে সপ্তম ইউরোপীয় কাপ জয়ের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদে সাফল্যের যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তিনি, তা কোনও দিন ভুলতে পারবেন না সমর্থকেরা।
রিয়ালের মতো ফুটবল প্রতিষ্ঠানে লোরেঞ্জোর আগমনের কাহিনি কিন্তু আর বাকি পাঁচজনের মতো নয়। তাঁর নামের সঙ্গে কখনওই যুক্ত ছিল না কোনও বিশাল ব্যবসায়িক সংস্থার নাম। বরং খুব কম বয়স থেকেই জীবনের পথটা নিজের মতো করেই তৈরি করেছিলেন তিনি। হেয়ারড্রেসার হিসেবে কাজ শুরু করার খুব অল্প দিনের মধ্যেই খুলে ফেলেন ফুড-চেন। যা খুব তাড়াতাড়ি লাভের মুখও দেখতে থাকে। তবে সেখানেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি লোরেঞ্জো। আরও একটু পরিণত হওয়ার পরে মাদ্রিদের অন্যতম সফল রিয়াল এস্টেটের মালিক হয়ে যান তিনি। ১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশক পর্যন্ত লোরেঞ্জোর রিয়াল এস্টেটের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল।
রামোন মেন্দোসা থেকে পড়াশুনো শেষ করার পরে সানজের জীবনের সম্পূর্ণ নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে রিয়াল মাদ্রিদের হাত ধরে। ১৯৯৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই ক্লাবেরও সোনালি অভিযানের সূচনা ঘটে গেল। ক্লাবের নতুন বাণিজ্যিকরণের সঙ্গে নতুন ফুটবলারদের আগমন ঘটল বের্নাবাউয়ে। ঘনিষ্ঠমহলে মজা করে লোরেঞ্জো বলতেন, “যখন আমি নিজের জামার হাতা গুটাতে থাকি, জানবে তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও নতুন ফুটবলার এই ক্লাবে সই করতে চলেছে। ওই সময়টুকুই আমার কাছে যথেষ্ট।” তারই প্রতিফলন ভক্তেরা দেখতে পেয়েছিলেন রিয়ালের জার্সিতে রবার্তো কার্লোস, ডাভর সুকেরের মতো মহাতারকাদের বের্নাবাউয়ে। পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে নতুন এক সংস্কৃতিরও জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। ‘মাদ্রিদিস্তা’ লোরেঞ্জো নেই। কিন্তু তিনি রয়ে যাবেন ভক্তদের স্মৃতিতে।