পলাতক সুশীল ভারতীয় কুস্তি সমাজকে বদনাম করলেন, মনে করেন তাঁর প্রশিক্ষক। ফাইল চিত্র
তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। আর এমন নক্কারজনক কাণ্ডে ছাত্রের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অপমানিত বোধ করছেন দুবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগিরের প্রশিক্ষক বীরেন্দ্র কুমার। তিনি মনে করেন এই ঘটনার জন্য ভারতীয় কুস্তির বদনাম হল।
গত ৬ মে ছত্রসল স্টেডিয়ামের গাড়ি রাখার জায়গায় সাগর রানা নামে ২৩ বছরের এক কুস্তিগিরকে খুন করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় সুশীলের নাম জড়িয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুশীলকে খুঁজলেও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ। এর জেরেই লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আর এই ঘটনায় সুশীলের নাম জড়িয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর প্রশিক্ষক বীরেন্দ্র কুমার বেশ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এই ঘটনার পর থেকে কোনও বাবা-মা তাঁর সন্তানকে কুস্তির আখড়ায় পাঠানোর আগে ভাবনাচিন্তা করবে। সুশীলের মতো বড় নাম এমন নক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় ভারতীয় কুস্তি কালিমালিপ্ত হল। এখন কোনও পরিবার চাইবে না যে তাঁর ছেলে-মেয়ে অসৎ সঙ্গে বেড়ে উঠুক।”
অতিরিক্ত ডিসিপি ড. গুরিকবাল সিংহ সিধু বলেন, ‘‘আমরা আহত দুই জন ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে সুশীল কুমারের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি।’’ পুলিশের কাছে সাগরের পরিবারের অভিযোগ, সুশীল তাঁকে বাড়ি থেকেই অপহরণ করে নিয়ে যান শিক্ষা দিতে। কিছুদিন আগেই অন্যান্য কুস্তিগিরদের সামনে সুশীলকে অপদস্থ করার শাস্তি দিতেই তরুণ কুস্তিগিরকে অপহরণ করেন সুশীল। আহত আরও এক কুস্তিগির সোনু মহল ও এলাকার দুষ্কৃতী বলে পরিচিত কালা জাঠেদি একসঙ্গে সুশীলের বাড়ির সামনেই থাকতেন।
বীরেন্দ্র কুমার আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, “২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে পদক জয়ের পর সুশীল দেশের অগণিত তরুণ ছেলে-মেয়ের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল। ওর জন্যই ভারতীয় কুস্তির চিত্র রাতারাতি বদলে যায়। অনেক পরিবার তাদের সন্তানকে এই খেলায় দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু সুশীল এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে শুধু নিজের নয়, দেশের কুস্তি সমাজের বদনাম করল। খারাপ কাজটা করার আগে নিজের সুনামের কথা ওর মাথায় রাখা উচিত ছিল।”