কার্লোস আলকারাজ। ছবি: রয়টার্স
অবশেষে তারুণ্যের জয়গান। উইম্বলডনে জোকোভিচের ট্রফির দৌড় থামিয়ে ট্রফি জিতলেন আলকারাজ। জোকোভিচকে হারালেন ১-৬, ৭-৬, ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে।
তৃতীয় গেমেই জোকোভিচকে ব্রেক করলেন আলকারাজ। খেলা আবার ঘুরে গেল স্পেনীয় খেলোয়াড়ের দিকে।
আরও একটি ব্রেক করে সেট জিতে নিলেন জোকোভিচ। খেলা গড়াল পঞ্চম সেটে।
চতুর্থ সেটে নিয়ন্ত্রণ হাতে নিচ্ছেন জোকোভিচ। সেটের প্রথম ব্রেক পয়েন্ট তুলে নিলেন তিনিই।
আবার জোকোভিচকে ব্রেক করলেন আলকারাজ। এ বার সেটই জিতে নিলেন। জোকোভিচ উড়ে গেলেন ৬-১ গেমে। অতীতে এ ভাবে ঘাসের কোর্টে জোকোভিচকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হারতে দেখা যায়নি।
একটা গেম পেতে দুই খেলোয়াড়কে লড়াই করতে হল ২৬ মিনিটেরও বেশি। ২৩টি পয়েন্ট পেতে হল। ১৩ বার ডিউস হল। অবশেষে পঞ্চম বার ব্রেক পয়েন্ট কাজে লাগালেন আলকারাজ।
একের পর এক আনফোর্সড এরর করছেন জোকোভিচ। ১৬ বছরের ছোট আলকারাজের বিরুদ্ধে তৃতীয় সেটে ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি।
তৃতীয় সেটের শুরুতেই জোকোভিচকে ব্রেক করলেন আলকারাজ। সেটে একটি ভাল ড্রপ শট খেলতে দেখা গেল আলকারাজকে। জোকোভিচের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি।
দ্বিতীয় সেট জিতে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালেন আলকারাজ। টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ফয়সালা। আলকারাজের র্যাকেট থেকে ভাল কিছু শট দেখা গিয়েছে। জোকোভিচও হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনিও প্রত্যাঘাত করছেন।
প্রথম সেটের তুলনায় অনেক ভাল খেলছেন আলকারাজ। তাঁর সার্ভিস এবং রিটার্নগুলি আগের থেকে অনেক ভাল। ফোরহ্যান্ডও শক্তিশালী হচ্ছে। অন্য দিকে, সার্ভের সময় জোকোভিচের ল্যান্ডিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি, সার্ভিসে নির্ধারিত ২৫ সেকেন্ডের থেকে কিছুটা বেশি সময় লাগছে তাঁর। আম্পায়াররা এখনও পর্যন্ত সতর্ক করেননি তাঁকে।
পরের গেমেই ব্রেক করলেন নোভাক। নিজের সার্ভিসের সুবিধা আবার কাজে লাগাতে ব্যর্থ আলকারাজ।
অবশেষে ম্যাচে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একটি গেম চলল প্রায় নয় মিনিট। জোকোভিচের একটি ফোরহ্যান্ড বাইরে পড়তেই ব্রেক করলেন আলকারাজ।
একটি সার্ভিস ধরে রাখতে পারলেও লাভ হল না। সেট বাঁচাতে পারলেন না আলকারাজ। ৬-১ উড়িয়ে দিলেন জোকোভিচ।
‘ডিউস’ হয়েও লাভ হল না। টানা দ্বিতীয় বার আলকারাজকে ব্রেক করলেন জোকোভিচ। ভয়াবহ খেলছেন আলকারাজ। প্রচুর ভুল করছেন তিনি। একাধিক অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছেন।
শুরুতেই ব্রেক করলেন জোকোভিচ। ৪০-০ এগিয়ে যান। সেখান থেকে দুটি ফোরহ্যান্ডে আলকারাজ ব্যবধান কমালেও লাভ হয়নি।
অ্যাডভান্টেজ পেয়েছিলেন আলকারাজ। কাজে লাগাতে পারেননি। জোকোভিচও একটি অ্যাডভান্টেজ নষ্ট করেন।