মুগ্ধ: প্রাক্তন সতীর্থ মেসিকে সবার আগে রাখছেন নেমার। ফাইল চিত্র
কোন ফুটবলারের খেলা দেখে জীবনে সব চেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছেন? এমন প্রশ্নে নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র জানালেন তিনজনের নাম। ব্রাজিলীয় মহাতারকার পছন্দের তিন জন— রোনাল্ডিনহো, রবিনহো ও লিয়োনেল মেসি। ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেমার সঙ্গে আরও জানালেন, তাঁর নিজের ছেলের পছন্দের ফুটবলারদের নাম। যাঁদের নিয়ে নেমার-পুত্র ফিফা গেমস খেলে।
শুধু খেলা দেখা নয়। নেমার নিজে বিশ্বসেরাদের সঙ্গেও খেলেছেন। বিপক্ষ দলেও পেয়েছেন মহাতারকাদের। তাঁদের মধ্যে থেকেই পছন্দের তিন জনকে বেছে নিলেন প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র তারকা। আলাদা করে তুললেন মেসির কথা। বললেন, ‘‘লিয়োর পাশে খেলাটা এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। বার্সায় আমরা এক দিন খুব ভাল বন্ধুও হয়ে গেলাম। যাদের খেলা দেখেছি তাদের সবার আগে আমি ওকেই রাখব। ফুটবলের ইতিহাসে সেরা কিন্তু মেসিই।’’
নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের মধ্যে নেমার আলাদা করে বলেছেন কিলিয়ান এমবাপের কথা। তাঁর বিশ্বাস ফরাসি তারকা একদিন বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে উঠবেনই। বললেন, ‘‘আমার চোখে কিলিয়ান একজন বিস্ময়। একদিন বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে ওঠার সব ক্ষমতা ওর মধ্যে আছে। ওকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়াটা আমার কাছে বড় সম্মানের। আমরা দু’জনে দু’জনকে খুব ভাল বুঝি। সেটা শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও। আমি ওকে
সত্যিই ভালবাসি।’’ প্যারিস সাঁ জারমাঁর দায়িত্ব নিয়েই নিজের ক্লাবে মেসি-নেমার যুগলবন্দির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখলেন মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনো। বললেন, ‘‘ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক আলোচনা বাকি আছে। যে কোনও বড় ফুটবলারকেই আমি স্বাগত জানাব।’’ এ দিকে, ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বির আগে মঙ্গলবার লিগ কাপের অন্য সেমিফাইনালে টটেনহ্যাম ২-০ গোলে হারাল ব্রেন্টফোর্ডকে। গোল করলেন মুসা সিসোকো ও সন হিয়ুং মিন। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির আরও দুই ফুটবলার এবং এক কর্মী। এই দুই ফুটবলার গোলরক্ষক স্কট কার্সন ও মিডফিল্ডার কোল পামার। পেপ গুয়ার্দিওলার ক্লাবে সংক্রমিত ফুটবলারের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ৮ জনে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাইল ওয়াকার ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মতো তারকা।