সম্মান: সর্বাধিক গোলদাতার পিচিচি ট্রফি নিেয় মেসি। টুইটার
চলতি মরসুমের শেষে কি বার্সেলোনা ছাড়বেন লিয়োনেল মেসি?
গোটা বিশ্ব জুড়েই তাঁর ভক্তেরা এই প্রশ্নটি নিয়েই বেশি চিন্তায়। কিন্তু তাঁরা জানলে খুশি হবেন, আগামী মরসুমে বার্সেলোনা ছাড়ার ব্যাপারে দোলাচলে রয়েছেন স্বয়ং মেসিও। স্পেনীয় প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, ক্লাবের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক চলতি মরসুমে তাঁর খেলাতেও প্রভাব ফেলেছে। এ বার মেসির গোল এবং গোলের পাস বাড়ানোর সংখ্যা গত ১৩ বছরে সব চেয়ে কম। প্রতি মরসুমে ক্লাবের হয়ে ৪০টি বা তার বেশি গোল করেন মেসি। এ বার সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ৯। যার মধ্যে পাঁচটি গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে। গত মরসুমে তাঁর গোলের পাস বাড়ানোর সংখ্যা ছিল ২১। এ বার ১৩টি লিগ ম্যাচে সেই সংখ্যাটা শূন্য।
সোমবারই গত মরসুমের সর্বাধিক গোলদাতা হিসেবে তিনি পেয়েছেন পিচিচি ট্রফি। মেসি জানিয়েছেন, মরসুমের সূচনা যে ভাবে হয়েছিল, তার চেয়ে মানসিক ভাবে এখন ভাল জায়গায় রয়েছেন তিনি। আগামী বছরের ৩০ জুন বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে মেসির। গত গ্রীষ্মেই বার্সেলোনা ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েও পিছিয়ে এসেছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভালই রয়েছি আমি। এটা ঠিক যে, গত গ্রীষ্মটা বেশ খারাপ সময় কাটাতে হয়েছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘যে ভাবে গত মরসুমের সমাপ্তি ঘটেছিল, তার পরে ব্যুরোফ্যাক্স প্রেরণ-সহ একাধিক ঘটনা পেরিয়ে এসেছি। যার রেশ কিছুটা হলেও মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করেছিল মরসুমের শুরুতে।’’ প্রশ্ন উঠছে, এই অবস্থায় মেসি কি আগামী মরসুমে ক্লাব ছাড়বেন? সাক্ষাৎকারে মেসি অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও আলোকপাত করেননি। এ দিকে বার্সার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জর্দি ফারে বলেছেন, নেমারকে যদি বার্সেলোনায় ফিরতে হয় তা হলে ক্ষমা চাইতে হবে। তিন বছর আগে বার্সা ছেড়ে তিনি প্যারিস সাঁ জারমাঁয় যোগ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন ক্লাব বকেয়া মেটায়নি অভিযোগও তুলেছিলেন নেমার। ফারে বলেছেন, ‘‘নেমারকে স্বাগত, কিন্তু ওকে প্রথমে দাবি তুলে নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’’