রাফায়েল নাদাল।—ফাইল চিত্র।
এক বছর আগেও ছবিটা পুরোপুরি উল্টো ছিল। টেনিস বিশেষজ্ঞদের কেউই সম্ভবত ভাবতে পারেননি এই রকম অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন তিনি। কিন্তু সেটাই ঘটেছে। এ বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে রাফায়েল নাদাল বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমার টেনিস জীবনের অন্যতম সেরা বছর এটা।’’
আর হবে না-ই বা কেন? টেনিস কোর্টের লড়াইয়ের ফলই তো সেটা বলে দিচ্ছে। কেরিয়ারের ১৬ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পরে নাদাল বলছেন, ‘‘ফলের দিক দিয়ে যদি দেখেন, তা হলে অবশ্যই এটা আমার অন্যতম সেরা মরসুম। তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল খেলেছি। দু’টো জিতেছি। যে স্ল্যামটার (উইম্বলডন) ফাইনালে উঠতে পারিনি, সেখানে কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্চম সেটে ১৫-১৩ হেরেছিলাম। আর ক্লে কোর্টে প্রায় সব ম্যাচই জিতেছি। অবশ্যই এই বছরটা আমার কাছে আলাদা করে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, কারণ এর আগেই আমি চোট-আঘাতে ভুগেছিলাম।’’
এ বছরে আবার নতুন করে সামনে উঠে এসেছে টেনিসের চিরসবুজ সেই দ্বৈরথ— রাফা বনাম রজার। তবে নাদাল মনে করেন, শুধু ফেডেরার নন, এই প্রজন্মের অনেক মহাতারকার সঙ্গেই তাঁকে লড়তে হয়েছে। এবং সেই লড়াইগুলোও কম উত্তেজক হয়নি। নাদালের কথায়, ‘‘অবশ্যই ফেডেরারের সঙ্গে আমার এই লড়াইটা খেলার পক্ষে খুব ভাল। এ রকম একটা দ্বৈরথের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে পড়াটা অবশ্যই খুব তৃপ্তিদায়ক। কিন্তু পাশাপাশি এও মনে রাখতে হবে, আমি রজারের বিরুদ্ধে যত ম্যাচ খেলেছি, তার চেয়ে বেশি খেলেছি নোভাকের (জকোভিচ) বিরুদ্ধে। আর সেই ম্যাচগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।’’
নাদালের গ্র্যান্ড স্ল্যাম সংখ্যা ১৬ ছোঁয়া মাত্র স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে, এ বার কি ফেডেরারকে (১৯ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক) টপকে যেতে পারবেন তিনি? যা শুনে নাদাল বলছেন, ‘‘ফেডেরারের ১৯টা। আমি এখনও তিনটে পিছনে। সংখ্যাটা কিন্তু খুব কম নয়। আমি ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছি না। এটুকু বলতে পারি, আমি নিজের মতো চলি। ফেডেরার নিজের মতো। দেখা যাক আমরা কোথায় শেষ করি।’’