Tennis

দেশে শেষ লড়াই, আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান লি

এ রকম একটা মুহূর্তে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কঠিন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১৫
Share:

ত্রয়ী: এক ফ্রেমে তিন প্রজন্ম। প্রজ্ঞেশ, লিয়েন্ডার ও আনন্দ অমৃতরাজ (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

দক্ষিণ এশিয়ার এক মাত্র এটিপি প্রতিযোগিতা টাটা ওপেনে তিনি এ বার সব চেয়ে বড় আকর্ষণ। কারণ, এ বছরই তিনি অবসর নেবেন আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। দেশের মাঠে তাঁকে শেষ বার খেলতে দেখা যাবে এখানেই। তিনি— লিয়েন্ডার পেজ।

Advertisement

এ রকম একটা মুহূর্তে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কঠিন? ‘‘এ বছর পুণেতে এই প্রতিযোগিতায় খেলতে আসাটা ভীষণ আবেগঘন ব্যাপার ছিল। ৩১ বছর ধরে টেনিস খেলে আসছি। এটাই আমার শেষ বছর। যাকে আমি ‘ওয়ান লাস্ট রোর’ বলছি। আশা করি আমার ভক্তদের জন্য, দেশের টেনিসপ্রেমীদের জন্য শেষ বার আমি জ্বলে উঠতে পারব,’’ বলেন লিয়েন্ডার। যতই প্রস্তুতি থাক, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করাটা যে সোজা হবে না সেটাও জানেন তিনি। ‘‘চেষ্টা করব আবেগরুদ্ধ না হওয়ার। মনে হয় না, পারব। এটাই আমার শেষ ইন্ডিয়ান ওপেন এটা মাথায় থাকবেই। যে দিনই হোক, কোর্টে নামাটা সোজা হবে না তাই,’’ বলে দেন তিনি। এর পরেই যোগ করলেন এখানে খেলার তাঁর স্মৃতির কথা, ‘‘এখানে সিঙ্গলস, ডাবলসে অনেক ভাল ম্যাচ খেলেছি। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক আমায় সমর্থন করেছেন। যে ভাবে সবাই সমর্থন করে এসেছেন, বিশেষ করে গত এক মাসে, তাতে আমি আপ্লুত। আমি জানি এর পরে দ্বিতীয় ইনিংস রয়েছে। বাঁচার জন্য অন্য একটা জীবন রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন তৈরি করা, আরও অনেক কিছু করার রয়েছে, আরও বিনোদন দেওয়ার রয়েছে, তবে দেশের মাঠে পেশাদার লিয়েন্ডার পেজের ট্রেন এখানেই থামছে।’’

এই প্রতিযোগিতায় ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে ডাবলসে নামবেন লিয়েন্ডার। সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এবডেন। দেশের বাইরে প্রতিযোগিতা, গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামার পাশাপাশি ভারতে খেলতে নামাটা তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও জানান দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা, ‘‘অস্ট্রেলীয় ওপেন খেলে আসলাম, এর পরে উইম্বলডন, ফরাসি ওপেন, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও নামব। তবে ভারতে খেলতে নামাটা সব সময়ই বিশেষ ব্যাপার। তরুণ প্রজন্মকে আরও উৎসাহ দেওয়া যায়, যাতে ওরা কোর্টে নিজের সেরাটা দিতে পারে। খেলোয়াড় জীবনেই এটাই আমার মন্ত্র ছিল, সেরাটা দিতে হবে। সমস্ত ভারতীয় খেলোয়াড়দের আমি এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই প্রতিযোগিতা ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে। আগামী দিনে আরও বড় হবে।’’

Advertisement

এত দীর্ঘ খেলোয়াড় জীবন শেষ করার পরিকল্পনা করাটাও কতটা কঠিন ছিল সেটাও জানান লিয়েন্ডার, ‘‘গত বছর সেপ্টেম্বরে ভাবার চেষ্টা করছিলাম কী ভাবে অবসর নেওয়া যায়। আমার টিমকে, বাবা-মাকে, সবার কাছেই পরামর্শ চেয়েছিলাম এ ব্যাপারে। কয়েক জন আমায় বলেছিল আরও একটা মরসুম আমার খেলা উচিত। শেষ আর এক বার। যাতে আমার ভক্তরা আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারেন। তবে বেশির ভাগই বলেছিল এবং আমার নিজেরও মনে হয়েছিল, আরও একটা মরসুম খেলা উচিত সেই সব খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ দিতে যাঁরা প্রায় চার দশক আমার সঙ্গে খেলেছে, সেই সব দর্শকদের ধন্যবাদ দিতে যাঁরা ৩১ বছর ধরে আমার পাশে রয়েছেন।’’ প্রায় চার দশকের খেলোয়াড় জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তিনি বলেন, ‘‘এত বছর ধরে খেলার অভিজ্ঞতা দারুণ। তা সে ১৮টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় হোক, ৯৭টা গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামা বা সাতটা অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া হোক বা ডেভিস কাপ। যে সব মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, সেই অভিজ্ঞতা অসাধারণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement