তবে লক্ষ্যের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। গণমাধ্যমে লিখেছেন, “জীবনে ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। হয় তুমি জিতবে অথবা তার থেকে কিছু শিক্ষা নেবে। আমি নিশ্চিত, এই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতের জন্য অনেক শিক্ষা নিয়েছ। আগামী প্রতিযোগিতাগুলোয় সাফল্যের জন্য আগাম শুভেচ্ছা।”
ফাইল চিত্র।
এক সপ্তাহের মধ্যে যে ছবিটা এ ভাবে পাল্টে যাবে, তা কল্পনা করতে পারেননি লক্ষ্য সেন। রবিবার অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন ফাইনালে ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে হেরে ভারতীয় তারকা মেনে নিলেন, বিশ্বের এক নম্বর তারকার আক্রমণের সামনে তিনি দাঁড়াতেই পারেননি।
গত শনিবার জার্মান ওপেনের সেমিফাইনালে অ্যাক্সেলসেনকে হারিয়ে আলোড়ন ফেলেছিলেন লক্ষ্য। এ দিন ফাইনালে হারলেন ১০-২১, ১৫-২১ ফলে, মাত্র ৫৩ মিনিটে। ২০ বছরের ভারতীয় তারকা বলেছেন, “গত সপ্তাহে যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম, তার চেয়ে এ দিনের অ্যাক্সেলসেন আক্রমণ এবং রক্ষণ, দু’জায়গাতেই ছিল অনবদ্য। খুব ধৈর্য নিয়ে ভিক্টর অসাধারণ খেলেছে।”
তবে লক্ষ্য এও জানিয়েছেন, ম্যাচে প্রচুর ভুল করার খেসারতও তাঁকে দিতে হয়েছে। তাঁর কথায়, “প্রথম গেমে তো আমি প্রচুর ভুল করেছি। তার পরেই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায়। পরের গেমেও সেটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি এবং অ্যাক্সেলসেন আমাকে গুছিয়ে ওঠার কোনও সময় দেয়নি।” প্রশ্ন উঠছে, প্রথমবার অল ইংল্যান্ড ফাইনালে খেলতে নামার চাপ কি তিনি সহ্য করতে পারেননি? লক্ষ্য বলেছেন, “ম্যাচের আগে প্রবল একটা চাপ তো ছিলই। তবে কোর্টে পা রাখার পরে এটাকে আরও একটা ম্যাচ ধরে নিয়েই খেলা শুরু করি। শনিবার দুর্দান্ত জয়ের পরে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছিলাম ঠিকই কিন্তু অ্যাক্সেলসেন এত নিখুঁত একটা ম্যাচ খেলেছে যে, ওকে অভিনন্দন জানাতেই হচ্ছে।”
গুরু প্রকাশ পাড়ুকোনের কীর্তি স্পর্শ না করতে পারলেও আফসোস নেই লক্ষ্যের। তিনি বলেছেন, “করোনা অতিমারির পরে আবার যখন ব্যাডমিন্টন শুরু হল, তখন থেকেই ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলার চেষ্টা করেছি। এই হার থেকে একটা শিক্ষা নিলাম যে, সর্বোচ্চ মঞ্চে খেলতে হলে নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। এখানে প্রত্যেকটি ম্যাচই সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সে ভাবে নিজেকে তৈরি করার কাজ শুরু করতে হবে।”
তবে লক্ষ্যের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। গণমাধ্যমে লিখেছেন, “জীবনে ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। হয় তুমি জিতবে অথবা তার থেকে কিছু শিক্ষা নেবে। আমি নিশ্চিত, এই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতের জন্য অনেক শিক্ষা নিয়েছ। আগামী প্রতিযোগিতাগুলোয় সাফল্যের জন্য আগাম শুভেচ্ছা।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন, “তোমার জন্য গর্বিত লক্ষ্য। অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় এবং দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছ। তোমার লড়াই সকলকে অনুপ্রাণিত করেছে। আগামী দিনগুলির জন্য রইল শুভকামনা। আমি নিশ্চিত, তুমি সাফল্যের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে।” গণমাধ্যমে অজয় জয়রাম লিখেছেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ, ইন্ডিয়া ওপেনে চ্যাম্পিয়ন, জার্মান ওপেনে রুপো আর এ বার অল ইংল্যা্ন্ড ব্যাডমিন্টনে রুপো! এত কমবয়সে গত কয়েক মাসে এই সাফল্যের কোনও তুলনা চলতে পারে না। তোমাকে কুর্নিশ। দারুণ খেলেছ চ্যাম্প।”