ছবি প্রতীকী
কলকাতা লিগ শুরু হতে মাত্র আট দিন বাকি। এখনও মাঠ সমস্যায় ভুগছে পিয়ারলেস স্পোর্টস ক্লাব, ক্যালকাটা কাস্টমস, টালিগঞ্জ অগ্রগামী, খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের মতো দলগুলি। করোনার মধ্যেও আইএফএ-র উদ্যোগে কলকাতা লিগ চালু হলেও সমস্যায় পড়েছে ছোট দলগুলি। আনন্দবাজার অনলাইন খোঁজ নিল এদের।
পিয়ারলেস: হাওড়ার মাকড়দহতে অনুশীলন করে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল পিয়ারলেস। তবে এখনও লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় ফুটবলাদের অনুশীলনে আসতে অসুবিধা হচ্ছে। ক্লাবের কর্তা অশোক দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা সব সময় চাই কলকাতার মাঠে অনুশীলন করতে। তবে মাঠ না থাকায় এত দূর আসতে হয়। আগে তবুও কষ্ট করে ছেলেরা ট্রেনে আসতে পারত। এখন ট্রেন নিয়মিত না থাকায় আসতে অসুবিধা হচ্ছে ওদের। কলকাতায় মাঠ পাওয়া গেলে এই সমস্যা হয় না। তবে কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। পরিস্থিতিটাই এই রকম।’’
টালিগঞ্জ অগ্রগামী: একটা সময় জাতীয় লিগে বাংলার অন্যতম মুখ ছিল টালিগঞ্জ অগ্রগামী। এখন সেই গৌরব আর নেই। স্পনসরের অভাবে ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ কলকাতার এই ক্লাবের ফুটবলাদের অনুশীলন করার জায়গাই নেই। ময়দানে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিন অনুশীলন করতে হচ্ছে। দলে সে অর্থে তারকাও নেই। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। ক্লাব কর্তা নৃপেন্দ্র মিত্র বলেন, ‘‘সব ক্লাবের একই সমস্যা। বলে-কয়ে মাঠ পেতে হচ্ছে। একদিন কলকাতা ময়দানে তো পরের দিন অন্য কোথাও এ ভাবেই প্রস্তুতি সারতে হচ্ছে।’’
খিদিরপুর: একই সমস্যা রয়েছে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবেরও। প্রশিক্ষক সঞ্জিব পাল বলেন, ‘‘সোমবার আমাদের অনুশীলন হল বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে। মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। তার মধ্যেই অনুশীলন চালাতে হচ্ছে। তবুও স্বস্তি ফুটবলটা চালু হয়েছে। এটা খুব দরকার ছিল।’’
কলকাতা কাস্টমস: নিজেদের মাঠ রয়েছে। পয়সা খরচ করে রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়। তবুও খালি পায়ে কলকাতা ময়দানে খেলতে আসা ফুটবলাদের জন্য সেই মাঠ নিয়েও সমস্যায় কাস্টমস। ক্লাব কর্তা রাজীব বাগ বলেন, ‘‘প্রত্যেক রবিবার এই সমস্যাটা বেশি হয়। আমরা মাঠ তৈরি করি ঠিকই, কিন্তু খেলতে পারি না। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ভাল মাঠ পেয়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকেরা খালি পায়ে খেলতে নেমে পড়েন। সমস্যা হয় আমাদের। অন্য কোথাও অনুশীলন করার মতো মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না।’’
এই মাঠ সমস্যায় বিশেষ কিছু করার নেই আইএফএ-র। তা এক কথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন সমস্ত ক্লাব কর্তাই। হতাশ আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা মাঠের জন্য অনেক বার অনুরোধ করেছি সরকারের কাছে। এবারের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে প্রত্যেক মরশুমেই এই সমস্যা দেখা যায়। আমাদের নিজেদের মাঠ না থাকায় ক্লাবগুলোকে ভুগতে হয়। এ ভাবেই বাংলার ফুটবল চলছে। তবে আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’’