ইয়ান বোথাম।—ফাইল চিত্র।
ভারতীয় অধিনায়কের পারফরম্যান্স ও আগ্রাসনে মুগ্ধ ইয়ান বোথাম। কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, বিরাট কোহালির সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে তিনি সত্যি খুশি হতেন। সতীর্থদের পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গেই দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতানোর খিদে তিনি দেখতে পান কোহালির মধ্যে। যা তাঁকে মুগ্ধ করে।
ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গেই বোথাম প্রশংসা করে গেলেন কপিল দেব ও ইমরান খানের। বোথামের সময়ে সব চেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেটার হিসেবে ইমরানকেই দেখতেন তিনি। কপিলের শৃঙ্খলায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। সব কিছু নিয়েই এক অনলাইন চ্যাট সেশনে কথা বললেন কিংবদন্তি ইয়ান বোথাম—কোহালি-বন্দনা: বিরাট সব সময় বিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। কোনও ভাবেই প্রতিপক্ষকে ঘুরে দাঁড়াতে দিতে চায় না ও। সব সময় সতীর্থদের পাশে দাঁড়ায়। ওর বিরুদ্ধে খেলতে পারলে সত্যি ভাল লাগত। ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আদর্শ ব্যক্তির হাতে।
কপিল না ইমরান: কপিল দেব, ইমরান খান ও রিচার্ড হ্যাডলির আমলে নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে ভাল লেগেছিল। প্রত্যেক সিরিজে খবর রাখতাম রিচার্ড, কপিল বা ইমরান কী করছে। আমাদের মধ্যে অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। আমাদের মধ্যে ইমরানই কিন্তু সব চেয়ে প্রতিভাবান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও। সত্যি খুব সাহসী। কপিলের শৃঙ্খলাও দারুণ। চেন্নাইয়ের মতো গরমে সারা দিন বলে করে যাওয়া সত্যি কঠিন।
অলরাউন্ডারদের পতন: অলরাউন্ডার তৈরি করা যায় না। গাছেও ফলে না। অলরাউন্ডার জন্মায়। তাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। চেন্নাইয়ের মতো গরমে কপিল যে রকম সারা দিন ধরে বল করে যেত, এখন কেউ তা পারবে? আমার মনে হয় না।
ফ্লিনটফ বনাম স্টোকস: বেন স্টোকসের চেয়ে এক মাইল পিছিয়ে থাকবে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। স্টোকস কিন্তু অনেকটা আমার মতো অলরাউন্ডার। প্রাণ খুলে খেলতে পছন্দ করে। ক্রিকেটবিশ্বে এখন সব চেয়ে ভাল অলরাউন্ডার কিন্তু স্টোকসই।
নেতৃত্ব-সংকট: অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ৯টি ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছি। ওদের অধিনায়ক ছিল ক্লাইভ লয়েড। ঘরের মাঠে ০-১ সিরিজ হেরেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ০-২ হারি। একজন নেতার থেকেও সৈনিক হিসেবে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতাম। নেতৃত্বের জটিলতা ভাল লাগত না।
আরও পড়ুন: একটা ঘুসিতে তোমার কেরিয়ার শেষ করে দেব, স্টিভ ওয়-কে বলেন অ্যামব্রোজ