জুটি: জন্মদিনে নিজের হাতে কেক বানিয়ে অনুষ্কাকে খাইয়ে দিয়েছিলেন কোহালি। যে ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে।
বিপক্ষের রান তাড়া করে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে দুর্দান্ত সব জয় এনে দেওয়া কিংবা ধুরন্ধর পরিকল্পনায় বাজিমাত করার কারিগর তিনি। কিন্তু ভারত অধিনায়ক সেই বিরাট কোহালিই যে দুর্দান্ত কেক বানিয়ে মন জয় করতে পারেন, তা কে জানতেন? তাও আবার ঘরণীর শংসাপত্র-সহ!
কোহালি নিজেই তাঁর এই গোপন গুণের কথা জানিয়েছেন ভারতীয় দলে তাঁর সতীর্থ ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে। দুই ক্রিকেটারের সেই আলাপচারিতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রকাশ করেছে তাদের টুইটার হ্যান্ডলে।
কোহালি সেখানে জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির কারণে নিভৃতবাসে থাকার সময়ে স্ত্রী অনুষ্কার জন্মদিনে কেক বানিয়ে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ‘ক্যাপ্টেন কোহালি’-র তৈরি করা সেই কেক খুশি করে দিয়েছিল বিরাট-পত্নীকে। কোহালি জানিয়েছেন যে, এই প্রথম কেক বানানোর জন্য মাথা খাটিয়েছিলেন। আর সেই চেষ্টায় তিনি সসম্মানেই উত্তীর্ণ।
সাক্ষাৎকারে মায়াঙ্ক তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘নিভৃতবাসে থাকার সময়ে তোমার অভিজ্ঞতায় সেরা ঘটনা কোনটা?’’ কোহালি জবাব দেন, ‘‘অনুষ্কার জন্মদিনে জীবনে প্রথম বার কেক বানিয়েছিলাম। নিভৃতবাস পর্বে এটাই আমার সেরা ঘটনা। কারণ এর আগে কখনও কেক বানাইনি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কেক তৈরির এই ইনিংসে প্রথম বারে ভাল ফলও পেয়েছি। কারণ, অনুষ্কা বলেছিল, কেকটা ওর ভাল লেগেছে। যা আমার কাছে একটা বিশেষ শংসাপত্র।’’উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে দেশব্যাপী লকডাউনের সময়ে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনকে ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে কোহালি জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে নিভৃতবাসে দারুণ কাটছে তাঁর। পিটারসেনকে বলেছিলেন, ‘‘কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। আমরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সময় দিচ্ছি। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই একটা খামারবাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। আমরা ভাগ্যবান। সাধারণ মানুষের দুর্দশা তো দেখা যাচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: বিদায়ী সংবর্ধনা নয়, প্রাপ্য সম্মান চেয়েছিলেন, বোর্ডের সমালোচনায় যুবি